নূরুজ্জামান ফারুকী, হবিগঞ্জ থেকে।।
নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সারং বাজারে আব্দুল সামাদ ( ৩০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা নাকি আত্নহত্যা এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে আলোচনার সমালোচনার ঝড় বইছে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে শশুর বাড়ির পাশেই গাছের সাথে গলায় কাপড় পেছিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে গোপলার বাজার পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল সামাদ (৩০) কালাভরপুর গ্রামের মৃত আকলাছ মিয়ার পুত্র। আব্দুল সামাদ ২য় স্ত্রী সালমা বেগম (১৯) কে সাথে নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করতেন। ২য় স্ত্রী গত ২০/২২ দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে তার বাপের বাড়িতে চলে আসেন এবং আব্দুল সামাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। আব্দুল সামাদ সোমবার চট্টগ্রাম থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে এলাকায় চলে আসেন। তখন তার গ্রামে আশে পাশের কেউ তাকে দেখে পায়নি। ভোরবেলায় তার ২য় স্ত্রীর ঘরের পাশেই গাছের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে গোপলার বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সামছুদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা ? এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শাহিনুর রহমান বলেন, আব্দুল সামাদের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের রির্পোট আসার পরে বলা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্নহত্যা।
মন্তব্য করুন