বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত হিসাবে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলনের চেয়েও অনেক কম হওয়ার প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বুধবার এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছিল, ওই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গত সপ্তাহে যে চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, মহামারীর শুরুর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি নেমে গিয়েছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরলেও মহামারী পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্বলন করা হয়েছিল। পরিসংখ্যার ব্যুরোর সাময়িক হিসাবে তা আরও কমে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ হতে পারে বলে দেখানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই গত জুন মাসে দেওয়া বাজেটে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছেন অর্থমন্ত্রী।
তবে বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, এ অর্থবছরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।
এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পুননির্ধারণ করা হবে কিনা- সেই প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর সামনে রেখেছিলেন সাংবাদিকরা।
উত্তরে তিনি বলেন, “যদি মনে হয় যে সিরিয়াসলি আক্রান্ত হব, তাহলে তো রিভাইজ করতে হবে। কিন্তু আমরা ভাবছি আমরা এখন যেভাবে যাচ্ছি, সে অনুযায়ী প্রক্কলন করতে পারব।”
মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ যে হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেয়েছে, এশিয়ার অন্য কোনো দেশ তা ‘পায়নি’ বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ অর্জন করেছি। আমাদের ধারণা ছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জন করতে পারব। ওই বছরের বড় অংশই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পার করেছি। অন্য দেশগুলোও পার করেছে।
“কিন্তু আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে, যা অর্জন করেছি তাতে এশিয়ার সব দেশের ওপরে আমাদের অবস্থান। আশপাশে প্রত্যেকেরই বিয়োগাত্মক প্রবৃদ্ধি।”
ভিয়েতনাম প্রবৃদ্ধি পেলেও তা তিন শতাংশের কম বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
মন্তব্য করুন