যশোর প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টেবল পদে লোক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।তারপর পুলিশের উক্ত পদে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সারাদেশে দালাল ও প্রতারক চক্রের তৎপরতা বেড়ে যায়।
মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় শতভাগ দূর্ণীতিমুক্তভাবে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য “বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার দেশের মানুষকে রাখবে নিরাপদ ” – এই স্লোগান নিয়ে যশোর জেলা পুলিশের একটি টীম দালাল ও প্রতারক চক্র সনাক্তের কাজ শুরু করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলার ফুলতলা থানার বাড্ডাগাতী গ্রামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ দাতা নাম
কোহিনূর বেগম তিনি যশোর জেলার পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।শুরু হয় গোপন অনুসন্ধান এবং অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ায় কোহিনূর বেগম অভয়নগর থানায় গতকাল একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আলোকে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখাকে দেওয়া হয়। গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ গঠিত একটি চৌকস টীম অভয়নগর ও ফুলতলা থানা এলাকায় রাতভোর অভিযান পরিচালনা করে দালাল ও প্রতারক চক্রের ২ সদস্য ১.মোঃ নাজমুস সাকিব (৩২), পিতা- আব্দুল আজিজ শেখ, গ্রাম-কোটা, থানা-অভয়নগর, জেলা-যশোর ও (২) ওহিদুল ইসলাম খান (৪০), পিতা- ফজলু রহমান খান, গ্রান-জামিরা, থানা-ফুলতলা, জেলা-খুলনাদের গ্রেফতার করেন।
এসময় তাদের নিকটে থাকা একাধিক চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীর আবেদন ফর্ম,টাকা আদায়ের ২ টি নোটবই ও ১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি ও ম্যাসেঞ্জারে পুলিশে নিয়োগের দেওয়া হবে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবেদন পত্র ও অর্থ গ্রহনের তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন