উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও চলমান বৃষ্টিপাতে সিলেটের সবগুলো নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্য সব জায়গায়ও সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। সারিনদীর পানি ইতোমধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা থেকে সারি নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্য মতে, সারিনদীর ডেঞ্জার লেভেল ১২.৩৫ সেন্টিমিটার। বেলা ১২টায় ছিল ১২.৭০ সেন্টিমিটার। কানাইঘাটে সুরমার পানি ডেঞ্জার লেভেল হচ্ছে ১২.৭৫ সেন্টিমিটার। সেখানে সকাল ৬টায় ছিল ১২.০৮ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ১২.০৯ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ছিল ১২.১১ সেন্টিমিটার। সিলেটে সুরমার ডেঞ্জার লেভেল ১০.৮০ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় ছিল ৯.৪০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ছিল ৯.৪৪ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৯.৪৪ সেন্টিমিটার।
এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সিলেটে গত মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে গত বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৮৫.০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৭.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশ লীমুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও চলমান বৃষ্টির কারণে সিলেটের সব নদীর পানিই একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সারি নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়াটা প্রাকৃতিক বিষয়। তাই সব নদীর পানি বিপদসীমার বেশি উপর দিয়ে গেলে বন্যা হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। তাছাড়া ভারতের বারাক নদীতে ব্যারেজ দেওয়া আছে। ব্যারেজ যদি ওরা খুলে দেয় তাহলে অবশ্যই বন্যা হবে।
মন্তব্য করুন