স্টাফ রিপোর্ট
“বিএনপি না চাইলে জামায়াত এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।”- সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র এই হুশিয়ারি কতোটুকু বাস্তবে রূপ নিতে পারে? জামায়াত যতো কিছুই বলুক, আওয়ামীলীগ আমলে আওয়ামীলীগ ছাড়া বিএনপিসহ পুরো দেশবাসীর শেল্টার পেয়ে আসলেও স্বাধীনভাবে জামায়াত কি রাজনীতি করতে পেরেছিল? ঘরের মধ্যে কোরআন হাদীসের বই পেলেও জিহাদী বই পাওয়া গেছে বলে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হতো। এই নির্যাতন থেকে নারীরাও বাদ যেতো না। তখন তাদের পক্ষে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপির সবাই কথা বলতো। কুরআন হাদীস নিয়ে আ’লীগের মিথ্যা প্রপাগান্ডার প্রতিবাদ তারা জানিয়েছিল। ২০১৩ সালে শিবিরের তৎকালীন সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে রিমান্ডে রেখে নির্যাতনের পর নির্যাতন করার প্রেক্ষিতে যখন সে হাটতে পর্যন্ত পারছিল না। সেই অবস্থায় কয়েকজন পুলিশ তাকে কোলে/ কাঁধে করে আদালতে নেওয়ার দৃশ্য বর্ণনা করে শিবির সভাপতিকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবী করে খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি চরম ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন।
বাংলাদেশের প্রশাসন যখন যে দল সরকারে যায়, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, লোভে কিংবা বাধ্য হয়ে সে দলের দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করে। আওয়ামীলীগ পরবর্তী তথা ৫ আগস্ট পরবর্তী বর্তমানে বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও বিএনপি ক্ষমতায় নিশ্চিত আসবে মনে করে প্রশাসন বিএনপির হয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও এনসিপি প্রশাসনকে বিএনপিবিমুখ করার চেষ্টা এতোদিন যৌথভাবে অব্যাহত রেখেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার তাতে সফল হতে না পেরে এবং নিজেরা দুর্নীতি করার কারণে পিঠ বাঁচানোর জন্য তথা দায় মুক্তি পেতে এনসিপিকে পাশ কাটিয়ে ড. ইউনূস তারেক রহমানের কাছে হাজিরা দিয়ে ইতোমধ্যেই নিজেদের নিরাপদ প্রস্থান মঈন উদ্দীন-ফখরুদ্দিনের মতো নিশ্চিত করে ফেলেছেন তাই তো প্রেস সচিব শফিকুল আলম, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা গংরা একই সুরে কথা বলছেন এবং তা বিএনপির পক্ষে যাওয়ায় তাতে বিএনপি আরো উজ্জীবিত। অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা দুইজন ব্যতীত বাকী প্রায় সবাই বিএনপির পক্ষে তাই ফেব্রুয়ারিতে তারা নিশ্চিত ক্ষমতায়-ঠেকাই কে? তাই তাদের এহেন বেপরোয়া ও ফ্যাসীবাদী ভাব!
প্রশাসনের কর্মরতরা বিভিন্নভাবে ভবিষ্যত সরকার বিএনপির সাথে বুঝাপড়া ও সখ্যতা ইতোমধ্যেই গড়ে তুলেছে। এই সম্পর্ক সুবিধা নিতে কিংবা বিপদ থেকে বাঁচার জন্য তথা অনৈতিক ও নৈতিক উভয়ভাবে গড়ে উঠেছে। অনেক খারাপ লোক আতংক থেকে বাঁচতে টাকার বস্তা নিয়ে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের কাছে গেলেও তিনি তাদের আশা পূরণ করেননি এবং টাকার বস্তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি কিংবা এনসিপি কিংবা অন্যান্য দলের কাছে এরকম আশা নিয়ে যাওয়া কেউ কি নিরাশ হয়েছেন? হয়নি আর তাই সঙ্গত কারণে সেসব দল ও লোকদের সাথে আতংকগ্রস্থ সেসব লোকদের সম্পর্ক গভীর হবে, জামায়াতের সাথে নয়।
তাছাড়া প্রশাসনে কর্মরত প্রায় সবাই বেশ আর কম দুর্নীতিগ্রস্থ। তাদের রক্ষা করতে পারে দুর্নীতিগ্রস্থরা, সৎ লোকেরা সততার কারণে করবে না এই ভয়ে অসৎদের আহসান-সাহলান জানাতে বাংলাদেশের প্রায় পুরো প্রশাসন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সামনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামীলীগের মতো প্রশাসনের প্রায় শতভাগ সমর্থন পাওয়ার পাশাপাশি মাঠে আওয়ামীলীগ আমলের চেয়ে বেশী জন সমর্থন পাবে। ইসলামি কিছু দলকে সুবিধা দিয়ে হাতে রেখে জামায়াতকে আওয়ামীলীগের চেয়ে বেশী সাইজ করাটা অসম্ভব নয়। তাছাড়া আওয়ামীলীগের পুরো সাপোর্টও বিএনপি পাবে সাথে চায়নার সাথে জামায়াতের বেশী সখ্যতা হওয়ায় আমেরিকা ও ভারত যৌথভাবে দেশীয় সব অর্গ্যান ও কুচক্রী মহলকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে জামায়াতকে চরম বেকায়দায় ফেলা অসম্ভব কিছু নয়।
রাজপথে নামলে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে সরাসরি গুলি করে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে আওয়ামীলীগ কাউকে এতো বছর তেমন মাঠে নামতে দেয়নি। (শেষে সেনাবাহিনী আমেরিকাসহ বিভিন্ন কারণে নিউট্র্যাল না হলে ২৪ এর অভ্যূত্থান সফল হতো না।) বিএনপির একাধিক নেতার সাথে আমার কথা হয়েছে বিগত ১৪/১৫ বছরে। তারা বলে, শেখ হাসিনা যেভাবে রাজপথে নামা লোকদের উপর জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে, সেরকম জিরো টলারেন্স আমরা দেখালে ৯২ থেকে ৯৬ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ-জামায়াত সেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে পারতো না। আমরা মিছিলে সরাসরি গুলি করি নাই। সামনে ক্ষমতায় আসলে আওয়ামীলীগ সেই স্পেস আর পাবে না, ডিরেক্ট গুলি, ব্রাশ ফায়ার। এখন তো আওয়ামীলীগ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নেই উল্টো আওয়ামীলীগের প্রায় সবাই বিএনপির প্রতিপক্ষ জামায়াত নিধনে সহযোগিতা করবে। বিএনপির অধীনে পরোক্ষভাবে আ’লীগ যুক্ত হয়ে যৌথভাবে জামায়াতকে দু্ূর্বল করে দিতে পারলে আওয়ামীলীগের আসার পথ আবার সুগম হবে-এমনটা আশা নিয়ে আছে আওয়ামীলীগ।
অবিচার ও জুলুম দিয়ে জামায়াতকে মোকাবিলা করতে গিয়ে আওয়ামীলীগ দেশকে সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল আর বিএনপি আওয়ামীলীগের চেয়ে বেশী শক্তি নিয়ে জামায়াত নিধনে নামলে দেশকে নিশ্চিত ধ্বংস করেই ছাড়বে।
জামায়াতকে মোকাবিলা করতে হলে জামায়াতের চেয়ে অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য আদর্শ দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে এমনটা আওয়ামীলীগ ও বিএনপির অনেক দেশপ্রেমিক ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে বলে আসছেন। নৈতিকভাবে মোকাবিলার পরিবর্তে হিংস্রতা ও অবিচার দিয়ে মোকাবিলা করতে করতে এক পর্যায়ে হিংস্রতা ও অবিচার রক্তে-মাংসে মিশে নিজেরা স্থায়ীভাবে হিংস্রতে পরিণত হয়ে জামায়াতের পাশাপাশি অন্যান্য দলের প্রতিও তা প্রয়োগ করতে থাকবে। এমনকি এই অবিচার ও হিংস্রতা থেকে ভিন্নমত পোষণকারী নিজের দলের ব্যক্তিরাও বাদ যাবে না। শেখ হাসিনা এরকম হয়ে উঠেছিলেন বলেই শেখ হাসিনার পতনে আওয়ামীলীগের একটা অংশও ভূমিকা রেখেছিল। শেখ হাসিনার পতনের মাহেন্দ্রক্ষণ সৃষ্টি হতে ১৫ বছর সময় লেগেছিল। শেখ হাসিনার মতো আচরণ করে শেখ হাসিনার চেয়ে বিএনপির বেশী সুবিধা থাকার কারণে হয়তো বিএনপি শেখ হাসিনার চেয়ে বেশী টিকবে। কিন্তু এভাবে টিকে থাকাটা দেশের যে সর্বনাশ বয়ে আনবে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দেশের অভ্যন্তরের বিশৃঙ্খলা ও অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে দেশের স্বাধীনতা – সার্বভৌমত্ব ‘নাই’ করে দিবে। কিংবা সরকারে থাকা দল টিকে থাকার জন্য লেন্দুপ দর্জির মতো কিংবা অন্য কোনো ফরমেটে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সাথে আপোষ করে ফেলবে।
ইন্ডিয়া বিভিন্ন কারণে বিএনপিকে ভয় করলেও তাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন আহমেদকে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পর্যায়ে উন্নীত করাতে পারায় বিএনপি নিয়ে ইন্ডিয়ার ভয় কেটে গেছে। সালাউদ্দিনকে বিএনপির দেশপ্রেমিক সবাই ইন্ডিয়ান মাল বলে ব্যঙ্গ করলেও বিএনপির নেতৃত্ব পরিবারতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী বলে এবং নেতা তথা তারেক জিয়ার সিদ্ধান্তের বাইরে কারো যাওয়ার সুযোগ নাই বলে সালাউদ্দিন আহমেদকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিএনপির দেশপ্রেমিক নেতারা মানতে বাধ্য হচ্ছে। সালাউদ্দিন আহমেদ এর মতো ব্যক্তিদের প্রভাবযুক্ত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শেখ হাসিনার আমলের মতো সুযোগ সুবিধা ইন্ডিয়া আবার পেতে থাকবে।
ভারত, আমেরিকা, আওয়ামীলীগ, প্রশাসন, কিছু ইসলামী দলসহ দেশের সিন্ডিকেটভুক্ত সব সরকারি-বেসরকারী সংগঠনের সমর্থন বিএনপি পাবে আর তা হবে আওয়ামীলীগের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি তাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জামায়াতের রাজনীতি করতে পারা কিংবা না পারাটা তাদের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল এমন কথা বলতে পেরেছেন।
সালাউদ্দিন টুকুর বক্তব্যকে ইতোমধ্যেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তারেক রহমানসহ তাদের অনেকেই পরোক্ষভাবে সমর্থন করে তার আলোকে জামায়াত বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া জামায়াতের দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে জিহবা কেটে ফেলার প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়া হলেও তাকে গ্রেফতার না করে অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির ফ্যাসিবাদী আচরণকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনেও তারা ড. ইউনূস সরকারের শতভাগ আনুকূল্য পাবে। বিএনপি এককভাবে নির্বাচন করলেও এককভাবে ২৫০ এর মতো আসনে জেতার সম্ভাবনা থাকলেও এই এক বছরে তাদের চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির কারণে এবং ইসলামি দলগুলোর ঐক্যসহ ফেয়ার নির্বাচন হলে এখন ১৫০ আসনে জেতাটাও অনিশ্চিত হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় এখন বিএনপি সংশয়ের মধ্যে না থেকে কেন্দ্র দখল করে ভোট নিয়ে নিবে-এমনটা তাদের আচরণে প্রকাশ পাচ্ছে। জামায়াত এককভাবে সর্বোচ্চ ৫০ টি আসনে বিএনপিকে ট্যাকল দিতে পারবে। বাকী ২৫০ আসনে বিএনপির পেশীশক্তির সাথে পেরে উঠতে পারবে না। প্রত্যেক ভোট কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে এই এক বছরে যারা বিভিন্নভাবে অনৈতিক সুবিধা প্রাপ্ত হয়ে আসছে, তা ধরে রাখার জন্য তারা সবাই বিএনপির বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে, একাট্টা থাকবে। খারাপ লোকদের বন্ধন কিন্তু খুবই সুদৃঢ়। তাদের সাথে চাঁদাবাজির ভাগ পাওয়া প্রশাসনও থাকবে। অতএব তারা সেইভাবে কাজ করবে। ইসলামি দলগুলোর ঐক্য হলেও সবাই ভোট কেন্দ্রে তেমন ভূমিকা রাখবে না তবে পি আর পদ্ধতিতে ভোট হলে তখন প্রত্যেকটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ হবে বিধায় স্ব স্ব দলের স্বার্থে প্রত্যেক দলের জানবাজ সবাই বাংলাদেশের সব কেন্দ্রে ভোট গণনা না হওয়া পর্যন্ত শক্তভাবে অবস্থান নিয়ে বিএনপি’র কেন্দ্র দখল ঠেকিয়ে দিবে-এই আশায় জামায়াত পি আর এর দাবীটা এতো জোরালোভাবে উপস্থাপন করছে। পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে প্রশাসন বিএনপির পক্ষে থাকলেও প্রত্যেক দলের জোরালো অবস্থানের কারণে বিএনপির অনিয়মে সহযোগিতা করার সাহস করবে না।
যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বিএনপির সমঝোতা হয়েছে তাই পি আর পদ্ধতিতে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বিধায় জামায়াতের সাথে থাকা অন্যান্য দলের জানবাজ কর্মীদের আন্তরিক অবস্থান ভোট কেন্দ্রে তেমন না থাকার কারণে সহজে কেন্দ্র দখল হয়ে জামায়াত জোট হারলেও জামায়াতে ইসলামীর সাথে চরমোনাইসহ আরো বিভিন্ন সেকুলার ও ইসলামি দলের যে জোট, তারা সবাই মিলে বিএনপি’র বিরুদ্ধে ক্রমান্বয়ে নির্বাচন পরবর্তী আন্দোলনে যাবে। প্রতিবাদ, আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে তা করা ছাড়া তাদের কাছে করার আর কিছুই থাকবে না। মাঝখানে দেশের ক্ষতি অব্যাহত থাকবে। গৃহযুদ্ধের শংকা আ’লীগ আমলে সৃষ্টি হলেও দেশ তা থেকে বেঁচে গিয়েছিলো কিন্তু এবার দেশপ্রেমিকরা এখন থেকে এগিয়ে না আসলে গৃহযুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হবে না।
দেশ যে গভীর সংকটে পতিত হতে যাচ্ছে এই অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে প্রথমে সত্যিকার জিয়ার আদর্শের দেশপ্রেমিক বিএনপি ও সেনাপ্রধানসহ সেনাবাহিনীকে ত্রাণকর্তার ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তারা এগিয়ে এসে দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ফর্মূলায় এক প্ল্যাটফর্মে আনলে গৃহযুদ্ধ থেকে দেশ বেঁচে গিয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ উন্নত দেশে রূপান্তরের টেকসই রাস্তায় উঠে যাবে।
মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী
প্রতিষ্ঠাতা
বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি।
আপনার মতামত লিখুন :