মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করতে জনগণ ভুল করলে সেই ভুলের মাশুল মারাত্মক হতে পারে। এমনকি দেশের অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে। বিগত ৫৪ বছরে দেশে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি আর তা নিয়ে এখন যথেষ্ট মাতামাতি হচ্ছে। যেসব বাধার কারণে দেশে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি তা শনাক্তপূর্বক দূরীকরণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার করছে। কিন্তু সেই সংস্কারের নেতৃত্ব যারা দিচ্ছেন তারা নিজেরা একটিভ ও প্যাসিভ দুর্নীতিমুক্ত না হয়ে অন্যদের সংস্কারে মনোযোগ দেওয়ায় সেই সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। সবার আগে নিজেকে সংস্কার করতে হবে। নিজেদের কৃত ভুল আর হবে না এরকম আশ্বাস দেশবাসীকে দিয়ে শতভাগ স্বচ্ছতার সহিত নিজেদেরসহ দেশের সবাইকে সংস্কারে কাজ করলে তখন জনগণের আস্থা সৃষ্টি হবে।
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। পৃথিবীর সভ্য দেশগুলো সংস্কার হতে হতে তারা সভ্য হতে পেরেছে। তাদের দেশের সংস্কারে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন মূলত তারা নিজেরা আগে নিজেদেরকে সংস্কার করেছিলেন কিংবা তারা ছোটকাল থেকে চেতনায় ও কর্মে সংস্কার হয়ে সংশোধিত ছিলেন। আর তাই তাদের দ্বারা কৃত সংস্কার টেকসই হয়ে তাদের দেশ উন্নত ও সভ্য হয়ে যায়। সংস্কারের নেতৃত্বে যারা আছেন কিংবা থাকবেন তারা নিজেরা নিজেদের চেতনা ও কর্মে শতভাগ সংস্কার এনে তারপর জাতি সংস্কারে অগ্রসর হলে সংস্কার টেকসই হবে অন্যথা যতো জায়গায় সংস্কার করা হোক না কেনো, তাতে তেমন লাভ না হয়ে সংস্কার ফাঁকা বুলি হয়ে থাকবে। সবচেয়ে ভালো হয় ছোটকাল থেকে সংশোধিত হয়ে আসা ব্যক্তিদের নেতৃত্বে সংস্কার করা। এরকম ব্যক্তিদের নেতৃত্বে সংস্কার করা হলে সবচেয়ে বেশী আস্থা সৃষ্টিসহ তা টেকসই হবে। রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যেতে প্রত্যাশী প্রত্যেক দলের উচিত তাদের দলের প্রথম এজেন্ডায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বসহ পুরো দলকে একটিভ ও প্যাসিভ সবধরনের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সংস্কার কর্মসূচী রাখা। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি তার ১৫ দফা কর্মসূচীর মধ্যে ১ম দফা কর্মসূচীতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বসহ পুরো দলকে শতভাগ একটিভ ও প্যাসিভ দুর্নীতিমুক্ত রাখার বিষয়টি রেখেছে।
বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি নিজেরা শতভাগ সংস্কার হয়ে দেশকে নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড কিংবা অন্যান্য উন্নত দেশের মতো নির্ভেজাল করতে চায়। এই লক্ষ্যে নির্ভেজাল মানসিকতার ব্যক্তিদের সংগঠিত করে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন দল ও ব্যক্তি দেশকে বদলে দেওয়ার জন্য সুন্দর সুন্দর কথা বললেও ক্ষমতায় গিয়ে তারা পূর্বের দেওয়া কথা মতো কাজ করে না। ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে কথা কিংবা ওয়াদা দেওয়ার সময়ে সেটা পালন করবে কি করবে না-তা সেই ব্যক্তি বা দলের আচরণ একটু যাচাই করলেই বুঝা যায় কিন্তু আমরা তা না করে তাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠিয়ে বারবার প্রতারিত হয়ে আসছি। প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে এবার (ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে) জনগণের উচিত হবে শতভাগ যাচাই করে তারপর ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠানো।
সৎ, সততায় অটল থাকতে গিয়ে যে কোনো ধরনের ক্ষতি এমনকি মৃত্যুকে ভয় করবে না এরকম সাহস, সংস্কার মনোভাবাপন্ন, নির্লোভ, আত্মমর্যাদাশীল, নিরহংকার ও ন্যায়পরায়ণ -এই সাতটি গুণের কোনো একটির ঘাটতি আছে সেরকম কোনো ব্যক্তি কিংবা দলকে পছন্দ না করে সাতটি গুণের সাতটিই যে ব্যক্তি কিংবা দলের মধ্যে পাওয়া যাবে সেই দলকে জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে বাংলাদেশ পথ না হারিয়ে জ্যামিতিক হারে এগিয়ে যাবে। উপরোক্ত সাতটি গুণ দলের প্রধান থেকে শুরু করে সিরিয়ালি কমপক্ষে ৭ জনের মধ্যে থাকতে হবে। কার অবর্তমানে কে দলীয় প্রধান হবেন এরকম ক্রমিক নম্বর উক্ত সাত জনের থাকবে। উক্ত সাতটি গুণ তাদের মাঝে আছে কিনা তা যাচাই করতে তাদের রাজনৈতিক জীবনসহ পেশাগত জীবনের বক্তব্য ও কাজ-কর্ম যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।
উত্তরসূরী কে সেটা জানা থাকলে দেশের জন্য সুবিধা। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর যথাযথ উত্তরসূরী তাঁর জীবদ্দশায় নির্ধারণ করে না দেওয়ায় তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সংস্কারকর্ম থেমে যায়। একাধিক ব্যক্তি ক্রম অনুযায়ী উত্তরসূরী হিসেবে মনোনীত থাকলে এবং দেশবাসী তা জানলে কারো মৃত্যুর পর পরবর্তী উত্তরসূরীর দিকে দেশবাসীর নজর যাবে। পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচনে বেগ পেতে হবে না। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সমস্যা এড়াতে দেশের সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীকে যথাযথ জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বিদ্যমান আইনের আন্তরিক প্রয়োগ কিংবা প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রণয়নসহ পুরো দেশবাসীর চেতনার সংস্কারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপরোক্ত সাতটি গুণ (সততা, সততায় অটল থাকতে গিয়ে যে কোনো ধরনের ক্ষতি এমনকি মৃত্যুকে ভয় করবে না এরকম সাহস, সংস্কার মনোভাবাপন্ন, নির্লোভ, আত্মমর্যাদাশীল, নিরহংকার, ন্যায়পরায়ণ) এর পাশাপাশি নিম্নোক্ত বিষয়গুলোও বিবেচনা করে ভোট দিতে হবে।
১) যে দলকে ভোট দেয়া হবে, সেই দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে গণতন্ত্র আছে কিনা? দলের প্রধান যোগ্যতা ও ভোটের মাধ্যমে নাকি পৈতৃক সম্পত্তির মতো উত্তরাধিকার সূত্রে প্রধান? যদি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রধান হয়ে থাকে, তাহলে সেরকম দলকে ভোট না দেওয়া উচিত।
২) ক্ষমতায় টিকে থাকতে কিংবা ক্ষমতায় যেতে যারা বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে – তাদেরকে ভোট দেয়া যাবে না।
৩) দলের প্রধান থেকে শুরু করে প্রথম সাত জনকে বিগত ত্রিশ বছরের সম্পত্তি বৃদ্ধির সন্তোষজনক হিসাব দিতে হবে। না পারলে তাদের দলের প্রার্থীদের ভোট দেয়া যাবেনা। নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্র ঠিক না থাকলে দল ঠিক হবে না আর বেঠিক সেই দল ক্ষমতায় গেলে দেশও ঠিক হবে না তাই এ পদক্ষেপ নিতে হবে। দলের বাকীরা ভবিষ্যতে অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির কোনো কাজে জড়িত হলে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় আইনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।
৪) দলের মধ্যে স্বচ্ছতা আছে কিনা? আর্থিক স্বচ্ছতা কী রকম, দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব, কাদের থেকে ডোনেশন নেয়, যারা ডোনেশন দেয়-তাদের উদ্দেশ্য, নির্বাচনের সময়কালীন ব্যতীত বড় বড় জনসভার খরচ, কেন্দ্রীয় অফিসসহ বিভিন্ন অফিসের খরচ ইত্যাদি যে দল সঠিকভাবে দিতে পারবে না, সেই দল ক্ষমতায় গিয়েও বেহিসেবী হয়ে দেশের সম্পদ লুট করবে। স্বচ্ছ হিসাব জাতির সামনে উপস্থাপন করতে যে দল ব্যর্থ হবে, সে দলকে ভোট দেওয়া যাবে না।
৫) যে দলে চেইন অব কমান্ড নেই, নেতা-কর্মীরা নিয়ন্ত্রণহীন সেরকম দলকেও ভোট দেয়া যাবে না।
৬) নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য আসন ভাগাভাগির নির্বাচন যারা করবে, তাদেরকে ভোট দেয়া যাবে না।
৭) নিজের দল করে, নিজের দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে বিধায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদে সুপারিশ করে নিজেদের দলের অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য লোকদের পদায়ণ করে সেসব পদে রাষ্ট্রের অপেক্ষাকৃত যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত যেসব দল করেছে -সেসব দলকে ভোট দেয়া যাবে না। নিজ দলের ত্যাগীকে মূল্যায়ণ, ভালো কথা। কিন্তু সেই মূল্যায়ণ আপনার নিজ ফান্ড থেকে কিংবা আপনার দল থেকে দিন, রাষ্ট্র থেকে দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি করা কোনো দলের উচিত নয়। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে লাখো-কোটি মানুষ ত্যাগ স্বীকার করে, বিনিময়ের জন্য নয়। আবু সাঈদ, মুগ্ধের ত্যাগের বিনিময় দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টার পদ তাদের পরিবারের সকল সদস্যকে দিলেও ত্যাগের বিনিময় দেওয়া কি সম্ভব? কিংবা ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের অন্ধ ও পঙ্গুদের উপদেষ্টা বানালে তাদের ত্যাগের বিনিময় দেওয়া কি সম্ভব? তাদের তুলনায় তেমন কোনো ত্যাগ না করেও যারা তাদের ত্যাগ ও রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে একটিভ ও প্যাসিভ দুর্নীতি করে নিঃস্বার্থ ত্যাগীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করছে তাদেরকে বয়কট করতে হবে। যারা বিনিময় চায় তারা তো স্বার্থান্বেষী-তাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে সমর্থন করা যায় না। বিগত ১৬/১৭ বছরে যারা ত্যাগ স্বীকার করে আসছে তারাসহ ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে তথাকথিত মূল্যায়ন করতে গেলে দেশ কি আগাবে? শিক্ষার্থীরা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটায়। কিন্তু সেই কোটা যারা শেখ হাসিনা পরবর্তী পূনঃবহাল করেছে-তারাও শেখ হাসিনার দোষে দুষ্ট কি নয়? অতএব দেশকে এগিয়ে নিতে হলে কোটাা নয়, মেধাকে প্রতিষ্ঠিত করার কোনো বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য যে “দেশ ঐক্য”র পক্ষ থেকে ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারকে সম্মানজনক সহযোগিতা ও আহতদের যথাযথ চিকিৎসা, পূনর্বাসন করার জন্য আমরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট ১৬ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তা এখনো সঠিকভাবে পালন করেনি। যা খুবই দুঃখজনক।
৭) নিজ সংসদীয় আসনের প্রার্থী শতভাগ সৎ কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রধানসহ প্রথম সাত জন অসৎ – এমতাবস্থায় সেই সৎ ব্যক্তিকে ভোট দেয়া যাবে না কেননা কেন্দ্রীয় অসৎ নেতৃত্বের কারণে তিনি তাঁর সততা জাহির করতে পারবেন না অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রধানসহ প্রথম সাত জন সৎ কিন্তু আপনার সংসদীয় আসনের ব্যক্তি তেমন সৎ না হলেও তাকে ভোট দিতে হবে। এটা এজন্যই যে, তেমন সৎ না হওয়া ব্যক্তিটি নির্বাচিত হলে কেন্দ্রীয় সৎ নেতৃত্বের কারণে কোনো ধরনের অসৎ কাজ করার সাহস পাবে না।
৮) উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বসহ যে দলের প্রত্যেক প্রার্থী কোনো ধরনের একটিভ কিংবা প্যাসিভ দুর্নীতি করবে না, নির্বাচিত হলে দলীয় এমপি কিংবা দলীয় সরকারের পরিবর্তে নিজের সংসদীয় আসনের সবার জনপ্রতিনিধি কিংবা দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে সবার সরকার হবেন, কারো জন্য অনৈতিক সুপারিশ করবে না এবং তাঁর অধীনস্থ কেউ অন্য কারো জন্য সুপারিশ করে অনিয়ম করলে তাকে আইনের আওতায় আনতে গড়িমসি করবে না- এরকম শপথ স্ব স্ব ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে করবেন কেবল তাদেরকে ভোট দিতে হবে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মেজরিটি জনগণ ভোট দিয়ে যাকে ক্ষমতায় পাঠাবে সেই ব্যক্তি/দল দেশ চালাবে। এমনটা হলেও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে অনেক হিসাব নিকেশ চলে। বাংলাদেশ যদি একবার মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারে তাহলে অনেক হিসাব নিকেশ আর গুরুত্ব পাবে না। আর এই দাঁড়ানোর জন্য বিদেশি কারো দারস্থ না হয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দেশের জনগণ বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি (বিওপি)’র মতো সাময়িক একটি দলকে একবার ক্ষমতায় পাঠাতে পারলে এবং আমরা বিগত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ থেকে বিওপি’র প্ল্যাটফর্ম থেকে যেভাবে কথা ও কাজ করে আসছি তার আলোকে দেশকে একটা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছে দিয়ে একটা স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করলে তখন বিদেশি কেউ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামানোর চেষ্টা করবেনা। উল্লেখ্য যে, বিদেশিদের দেশের রাজনীতিতে নাক গলানোর জন্য দেশের রাজনীতিবিদরা আহবান জানিয়ে বছরের পর পর সুযোগ দিয়ে আসছে।
ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। নিজ থেকে কোনো বৃহৎ শক্তির কাছে ধরা দিয়ে সেই অবস্থান হারানো কোনো অবস্থাতেই উচিত হবে না। বাংলাদেশকে সব সময় বৃহৎ শক্তিগুলোর সাথে ব্যালেন্স করে চলতে হবে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে কিংবা ক্ষমতায় যেতে যারা কোনো পরাশক্তির সাথে মিশে বাংলাদেশকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলার চেষ্টা করছে তারা দেশপ্রেমহীন জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিরকাল ধিকৃত হয়ে থাকবে। সকল মতপার্থক্য অক্ষুন্ন রেখে সর্বজনীন বিষয়ে দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে এনে সবার মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশের মতো দেশের সবকিছুতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি। তাই আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি কিংবা এই দলের মতো কোনো দল থাকলে সেই দলই ভোট পাওয়ার দাবীদার। এই রকম দলকে ভোট না দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য কোনো দলকে ভোট দিলে এবং সেই দল ক্ষমতায় গিয়ে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না করলে তারজন্য দলটি সহ ভোট দাতারাও দায়ী থাকবেন। “এইবার অমুক দলকে দেখি, ভুল করলে আগামীবার ভোট দেবো না।”- এরকম পরীক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোনো দলকে ভোট দিয়ে দেশের ক্ষতি করা যাবে না বরং দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের জীবন চরিত যাচাই করে সবচেয়ে ভালো দলকে ভোট দিলে দেশে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে।
লেখকঃ প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি।
আপনার মতামত লিখুন :