আর্থিক স্বচ্ছতার অনন্য নজীর স্থাপন করতে চায় ঐক্য পার্টি।


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ন /
আর্থিক স্বচ্ছতার অনন্য নজীর স্থাপন করতে চায় ঐক্য পার্টি।

স্টাফ রিপোর্ট 

নতুন ধারার রাজনীতি করার ঘোষণা দিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখে আত্মপ্রকাশিত বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি চার বছর অতিক্রম করলেও নতুন ধারা বজায় রেখে দলটি কথা ও কাজে অভিন্ন থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আত্মপ্রকাশের দিন (৬ সেপ্টেম্বর ২০২১) দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দূরবীক্ষণ, আতসী কাচ ও অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজেও বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির আর্থিক অনিয়ম যাতে পাওয়া না যায়, সেভাবে দলটি কার্যক্রম চালাবে। তারা সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখবে। আসলেই কথা ও কাজে তার প্রমাণ দলটি দেখিয়ে আসছে। বিগত চার বছর তথা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির আয়-ব্যয় তাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সভায় যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হয়ে আসছে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত দলটির যাবতীয় আয়-ব্যয় দেশবাসীর নিকট এক রেজুলেশনে উপস্থাপনের জন্য সর্বশেষ ২১ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখ দলটির সভাপতি লে. কর্ণেল (অব.) আবু ইউসুফ যোবায়ের উল্লাহ, পিএসসি’র সভাপতিত্বে দলটির কার্যালয়ে (২৭/১, ইন্দিরা রোড, ফার্মগেট, ঢাকা) এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত আয়-ব্যয় সংক্রান্ত। উক্ত ২য় সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বিভিন্ন সময়ে পার্টির সদস্যরা পার্টিকে অনুদান দিয়ে আসছে। পার্টির আয়-ব্যয় পূর্ববর্তী বিভিন্ন মিটিংয়ে উপস্থিত সবার সম্মতিতে অনুমোদন পূর্বক রেজুলেশনে লিখা আছে। প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে আজকের তারিখ পর্যন্ত পার্টির জন্য কারা, কতো ডোনেশন দিয়েছেন, মোট আয় ও ব্যয় কতো তা দেশের জনগণের কাছে সহজে উপস্থাপনের নিমিত্তে একটি রেজুলেশনে লিপিবদ্ধ করার প্রস্তাব আসায় অত্র রেজুলেশনে তা লিপিবদ্ধ করা হলো। পার্টির মোট আয় ৯১৪৩০০ টাকা (নয় লক্ষ চৌদ্দ হাজার তিনশ)। মোট ব্যয় ১০৬৪৩০০ টাকা (দশ লক্ষ চৌষট্টি হাজার তিনশ)। দেনা ১৫০০০০ টাকা। অতীতে বিভিন্ন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের খরচের ভাউচার অদ্যকার সভায় যাচাই করে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী থেকে নেওয়া কর্জ টাকা (১৫০০০০) চলতি মার্চ মাস থেকে প্রতিমাসে ৮০০০ টাকা করে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র জন্য প্রতিষ্ঠাকালীন সময় তথা ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ থেকে ২০ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত কারা, কতো টাকা দিয়েছেন তার হিসাব:

১) মিলন আবদুল্লাহ আল ওসমান-২০০০ টাকা। ২) ডাঃ শ্যামল দাশ গুপ্ত -২০০০ টাকা। ৩) ডাঃ মিলন বারিকদার-১৭০০ টাকা। ৪) ইঞ্জিনিয়ার হোসেন মুরাদ-১১০০ টাকা। ৫) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা -১০০০টাকা। ৬) আরমান আমির উল্লাহ ১০০০ টাকা। ৭) মোঃ আশরাফুল আহাদ (মিরাজ)-১০০০ টাকা। ৮) অরুণ তংচংগ্যা-১০০০ টাকা। ৯) মোহাম্মদ মোকতার হোসেন – ৫০০ টাকা। ১০) বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম-১০০ টাকা। ১১) এডভোকেট শেখ শওকত হোসেন-১০০ টাকা। ১২) জসিম উদ্দিন চৌধুরী -১০০ টাকা। ১৩) বিপ্লব চক্রবর্তী -১০০ টাকা। ১৪) ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন -২০০০ টাকা। ১৫) মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী ২৫ ০০০ টাকা। মোট- আটত্রিশ হাজার সাতশত টাকা। উক্ত টাকা ১০টি অভ্যন্তরীণ মিটিং, যাতায়াত, খাবার, ওয়েবসাইট তৈরী, লেটার হেড প্যাড তৈরি, সদস্য ফরম ও রশিদ বই ছাপানোতে খরচ হয়ে যায়। ১৬) ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের খরচ মোট ৮ হাজার টাকা এডভোকেট আল মাহমুদ হাসান বহন করেছিলেন। বিগত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ সালে পার্টির তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী (৪২ হাজার) ও ডা: জামাল উদ্দিন (২০ হাজার) পরিশোধ করেছেন। টেকনাফ, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, বাকলিয়া এবং ২০২৩ এর ৫ ফেব্রুয়ারীর পর ১৬ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১১টি অনুষ্ঠানের মধ্যে ৭টি অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী একা বহন করেছেন। এছাড়াও গোপালগঞ্জ, বগুড়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ঢাকা ইত্যাদি স্থানে সাংগঠনিক কাজে বারবার যাতায়াতের যাবতীয় খরচও তিনি বহন করেছেন। ১৭) এডভোকেট আহমেদ আলী শেখ ১০০০ টাকা।১৮) অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ ১০০০ টাকা। ১৯) লে. কর্ণেল (অব.) আবু ইউসুফ যোবায়ের উল্লাহ পিএসসি জুলাই ২০২৪ থেকে প্রতি মাসে ৫০০০ করে দিচ্ছেন তাতে এযাবৎ মোট ৪৫ হাজার। ২০) মুহাম্মদ আলাউদ্দিন ১৩০,০০০ টাকা। ২১) ড. নাজমুল করিম খান ৫০০০০ টাকা। ২২) ডা. ওয়ালিউর রহমান ডাবলু ৪০০০০ টাকা। ২৩) মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী পার্টিকে ১৫০০০০ টাকা কর্জ দেওয়াসহ সর্বমোট পার্টিকে দিয়েছেন ৭৫০০০০ টাকা। ২৪) এডভোকেট শেখ লালন আহমেদ ৫৬০০ টাকা। তিনি প্রতিমাসে মার্চ ২০২৫ থেকে মাসের শুরুতে পার্টিকে ৩০০০ করে চাঁদা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশসহ তার অফিসকে পার্টির অফিস হিসেবে ব্যবহারে করতে দিতে আগ্রহী হওয়ায় বর্তমানে তা আমরা অফিস হিসেবে ব্যবহার করছি। ইতোপূর্বে মুহাম্মদ আলাউদ্দিন এবং তারপূর্বে এডভোকেট আল মাহমুদ হাসানও বাংলাদেশ ঐক্য পার্টিকে অফিস ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন।