বানিয়াচংয়ে তদবির করার সময় ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুল লাঞ্চিত


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২১, ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ন /
বানিয়াচংয়ে তদবির করার সময় ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুল লাঞ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার

হবিগঞ্জ জেলায় বানিয়াচং থানায় তদবির করার সময় সাবেক কলেজ ছাত্রলীগ সেক্রেটারী ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমদাদুল হোসেন খান ওরফে ইমদাদ উল্লাকে লাঞ্চিত করেছেন সেচ্ছাসেবকদল, যুবদল ও কৃষকদলের লোকজন। এসময় উত্তেজিতরা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করতে চাইলে পরবর্তীতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২০ এপ্রিল) রাত ৯ টায় থানা চত্তরে।

সূত্র জানা যায়, ইমদাদ তার এক আত্মীয়ের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় তদবির করতে যান। খবর পেয়ে উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক ইয়াজ উদ্দিন রাসেল, ঢাকা মাহ নগর দক্ষিণ কৃষকদলের যুগ্ম আহŸায়ক খোরশেদ আলম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক ওলিউর রহমানসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী থানার সামনে জড়ো হয়ে ইমদাদতে ঘেরাও করে নয় শহীদের হত্যাকারী দাবী মিছিল করেন এবং স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে গালমন্দ করে ইমদাদকে গণধোলাই দিতে তেড়ে যান অনেকে। পরে থানার ওসি গোলম মোস্তফা এগিয়ে এসে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ওসিকে উত্তেজিত নেতাকর্মী জানান, ইমদাদ ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সেক্রেটারী নির্বাচিত হয়ে তখন তার সরকার দলের প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রদলসহ বিরোধীদলের নেতামর্কীদের নানাভাবে হয়রানি করে এবং অনেকের ওপর হামলা করে আহত করে। ২০১৩ সালে সে বানিয়াচংয়ে গণ জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন এবং উদীচির দায়িত্ব পাল করে। একই সালে উদীচির ব্যানারে শহীদ মিনারে অশ্লীল গান বাজনা করলে আলেম সমাজ গানের যন্ত্রপাতি ভাংচুর করেন। এসময় বিনা ভোটের এমপি মজিদ খান নগদ ১ লাখ টাকা দিয়ে ইমদাদকে পুনর্বাসন করেন।

৭ জানুয়ারি আমি ও ডামি নির্বাচনে ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলের পক্ষে প্রচারনা করে সে, ভাগ্যক্রমে রুয়েল এমপি হলে কপাল খুলে ইমদাদের। পুরস্কার স্বরূপ তাকে হাসপাতাল ব্যবস্থা কমিটির সদস্য বানান রুয়েল। ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল হোসেন খানের পক্ষে প্রচারনা করেন, এবং তিনি জয়লাভ করলে সে ইকবালকে মাল্যদান করে সে নিজেও মালা পড়ে ছবি ভাইরাল করে। ২০২৩ ও ২৪ সালের ২৬ শে মার্চ ইমদাদের ছেলে শেখ মুজিবের ভাষণ দিয়ে চ্যাম্মিয়ান হলে সে তার ফেসবুকে গর্ভের সাথে পোস্ট করে।

উল্লেখ্য ইমদাদ উপজেলা সদর নন্দীপাড়া গ্রামের তাইদ উল্লার পুত্র এবং নৌকা মার্কার ইউপি চেয়ারম্যান এবং ৯ ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আলোচিত আসামী মিজনুর রহমান খানের ভাতিজা। ২০০৯ সাল থেকে সে কোনো কর্ম না করে স্বৈরাচারের ক্ষমতার দাপটে রাজার হালে চলাফেরা করে, স্বৈরাচর বিদায় হলেও সে কৌশলে দাপট অব্যাহত রাখে এবং গোপনে আওয়ামীলীগকে সহযোগীতা করে বলে জানিয়েছেন বিএনপি, খেলাফতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, থানার নিরাপত্তার স্বাথে তাৎক্ষনিক বিষয়টি নিভৃত করেছি। অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।