কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর সার্বজনীন মহাশ্মশান ঘাট মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার লোবর রাতে সার্বজনীন মহাশ্মশান ঘাটের শ্রী শ্রী কালী মাতার মন্দির ও ভৈরব মন্দিরে এ চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও মহাশ্মশান ঘাট পরিচালনা কমিটি সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শমশেরনগর সার্বজনীন মহাশ্মশান ঘাট এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের শেষকৃত দাহের জন্য নির্মাণ করা হয়। এর পাশেই অবস্থিত কালী মাতার মন্দির ও ভৈরব মন্দির। মঙ্গলবার ভোর রাতে দুর্বৃত্তরা মহাশ্মশান ঘাটে প্রবেশ করে প্রথমেই বৈদ্যুতিক লাইন ও সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কালী মাতার মন্দির ও ভৈরব মন্দিরের তালা ভেঙ্গে মন্দিরে রক্ষিত স্বর্ণালংকার, ক্যাশবাক্সসহ ২ লক্ষাধিক টাকার পূজার মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার ভোরে শমশেরনগর সার্বজনীন মহাশ্মশান ঘাট মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজিত পাল এ ঘটনা দেখতে পেয়ে কমিটির পুলিশ, কমিটির সদস্য ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো: জাকির হোসেনের নেতৃর্ত্বে পুুিলশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল চন্দ্র দাশ, সাধারণ সম্পাদক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর লাল সাহা, সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দেব, শমশেরনগর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিমুল চন্দ্র পাল, আলীনগর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমরেন্দু সেনগুপ্ত বুলবুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ চুরি যাওয়া মহাশ্মশান ঘাট মন্দির পরিদর্শন করেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মন্দির চুরির সাথে জড়িতদের খুুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।
শমশেরনগর সার্বজনীন মহাশ্মশান ঘাট মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজিত পাল জানান, এর আগেও এই মন্দিরে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো: জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দায়ীদের খুঁজে বের করতে পুলিশ গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন