হবিগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : মে ১২, ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন /
হবিগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে।

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিক্রম দাস (১৩) নামে এক কিশোর শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১০ মে) সকালে বদলপুর ইউনিয়নের বদলপুর-পাহাড়পুর সড়ক সংলগ্ন বেড়িবাঁধে এই ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার কিশোর শিক্ষার্থী বদলপুর ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন হরিপুর (নতুন হাটীর) বাসিন্দা কালীকৃষ্ণ দাসের পুত্র ও সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।  তবে চেয়ারম্যানের দাবী “বাঁধে লাগানো সরকারি গাছ গরু দিয়ে নষ্ট করার সময় বাঁধা দেয়ায় কিশোর উশৃংখল আচরণ করায় তাকে শাসন করা হয়েছে।”

ভুক্তভোগী কিশোরের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে , শুক্রবার সকালে  হাঁস ও গরু নিয়ে বাঁধ সংলগ্ন পতিত জমিতে যায় কিশোর বিক্রম। এরপর গরু গুলোকে জমির পাশে ঘাস খাওয়াতে দেয়। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরী সহ কিছু লোক সেখানে আসে। এসময় চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরী  গরুগুলোকে সেখান থেকে সরাতে বলে। কিশোর বিক্রম গরু পরে সরাবে বললে চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ  অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বিক্রমকে বেধড়ক পিঠিয়ে আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন কিশোর বিক্রমকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান।

কিশোর বিক্রম জানায়, সকালে হাঁস ও গরু নিয়ে বাঁধ সংলগ্ন জমিতে খাওয়াতে যাই। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান সাথের লোকজন এসে আমাকে গরু সরাতে বলে। আমি গরু পরে সরাবো বলার সাথে সাথেই চেয়ারম্যান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।  এ সময় আমার মা এসে বাঁধা দিলে আমার মাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ।

এ বিষয়ে বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,  বেড়িবাঁধে আমি প্রায় আড়াই হাজার গাছ লাগিয়েছি। প্রতিদিন গরু গুলো গাছ নষ্ট করে। শুক্রবার সকালে বাঁধে গিয়ে গরু সরাতে বললে বিক্রম  উশৃংখল আচরণ করে ও অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে। আমি তখন শাসন করার জন্য হাতে থাকা কঞ্চি দিয়ে একটি আঘাত করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত  ব্রাদার রেজাউল করিম জানান, কিশোর বিক্রমের হাঁটুর উপরে সামনে ও পিছনে উরুতে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে কিশোর বিক্রমের পরিবার এসেছিলো। আমরা তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি, এখন পর্যন্ত তারা কোন লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেননি। তারপরও বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।