ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট
মূল্য বৃদ্ধির আশায় বরিশালে সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। কিছু অলিগলির দোকান ছাড়া কোনো জায়গাতেই মিলছে না সয়াবিন তেল। ব্যবসায়ীরা বলছে তাদের মজুদে নেই সয়াবিন তেল। তবে ক্রেতারা বলছেন তেল সরিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা।
সোমবার বরিশাল নগরীর বাজার রোড, বাংলাবাজার, চৌমাথা বাজার ও নতুন বাজারে গিয়ে দোকানগুলোতে সয়াবিন তেল না থাকার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। যে কয়টি দোকানে রয়েছে সেখানেও তেল রয়েছে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ বোতল।
ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভোজ্যতেলের মূল্যে বৃদ্ধির আশায় ব্যবসায়ীরা তেল বিক্রি না করে যার কাছে যে তেল রয়েছে তা দোকান থেকে সরিয়ে অন্যত্র মজুদ করে রেখেছে। যে কারণে ক্রেতারা সয়াবিন তেল কিনতে পারছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।
সদর রোডের খাবার হোটেল ব্যবসায়ী মারুফ বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও তেল কিনতে গিয়ে পড়েছি বিপাকে। সয়াবিন তেলের দাম যাই হোক হোটেল চালাতে তেল তো আমার লাগবে। তাই আমি পরিচিত দোকানিদের কাছ থেকে পাঁচ লিটারের একটি বোতল ৮৬৫ টাকায় নিয়েছি; যা রোববারও ছিল ৭৮০ টাকা।
ক্রেতা মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি দোকানে সয়াবিন তেল রয়েছে। কিন্তু কেউ বিক্রি করছে না। কেউ দাম বাড়িয়ে বললে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। আমি ১৬০ টাকার লিটারের তেল ২০০ টাকা করে দুই লিটার কিনেছি।
বাজার রোডের মুদি দোকানি শামসুর রহমান বলেন, দোকানে কোনো তেল নেই। কোম্পানি থেকেই সাপ্লাই নেই। আমরা বিক্রি করব কিভাবে। আমি কোনো তেল মজুদ করিনি।
চৌমাথার ব্যবসায়ী মন্টু বলেন, তেল থাকলে তো বিক্রি করব। তেলই নাই। কিছু লাভের আশায় ক্রেতাদের ভোগান্তি করে তো লাভ নেই।
নগরীর প্যারারা রোডের ব্যবসায়ী মো. মারুফ বলেন, এক লিটারের একটি বোতল আর আধা লিটারের কয়েকটি বোতল রয়েছে আমার দোকানে। কিন্তু এগুলো সবই বিক্রি হয়ে গেছে, এক ব্যক্তি কিনে রেখে গেছেন।
এ বিষয়ে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আন্তর্জাতিকভাবেই তেলের দাম বাড়ছে। তার ওপর যদি কোনো দোকানি বাড়তি লাভের আশায় সয়াবিন তেল মজুদ করেন তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের প্রতিদিন বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান আছে।
মন্তব্য করুন