হবিগঞ্জে সাংবাদিক আজাদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দ্যা সিলেট পোস্ট
প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১০, ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ন /
০
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
হবিগঞ্জের দৈনিক সমকালের নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এমএ আহমদ আজাদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ আওতায় মামলা দায়ের হয়েছে। উপজেলার গোপলারবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শেখ মারজান আহমেদ শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে নবীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সাংবাদিক আজাদ ছাড়াও কয়েকজনকে আসামী করা হয়।
সুত্রে জানা যায়, গোপলারবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া ভুল করা ও প্রাইভেট না পড়ার জন্য অষ্টম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করার ঘটনায় গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শ্রেণিকক্ষে এক সালিশ ডেকে ইংরেজী শিক্ষক শেখ মারজানকে শিক্ষার্থী ও অভিভবাকদের সামনে হাত জোর করে ক্ষমা চাওয়ানো হয় এবং স্টাম্পে মুচলেকা নেওয়া হয়া। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, অনেকে শিক্ষক হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে শেয়ার করেন। একইভাবে ্য়ঁড়ঃ; গ্রামবাংলা টোয়েন্টিফোর টিভি ্য়ঁড়ঃ; নামে একটি ফেসবুক পেজেও ভাইরাল হয়। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা পজিব কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ, দেবপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ও জেলা এনসিপির কর্মী পরিচয় দেওয়া আরিফ উদ্দিন তালুকদার সালিশ বিচারে উপস্থিত ছিলেন। সালিশের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক আজাদকে গ্রেপ্তার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দফা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে এমএ আহমদ আজাদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার শিকার শিক্ষক নবীগঞ্জ থানায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের আওতায় এজাহার জমা দেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরীও করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল সুরক্ষা অধ্যাদেশের ধারায় মামলাটি শনিবার রাতে এফআইআরভুক্ত হয়েছে। সাংবাদিক এমএ আহমদ আজাদ মামলার প্রধান আসামী। তবে অপর ৪জনের নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আজাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী শেখ মারজান আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, সাংবাদিক আমাকে হেনস্থার ঘটনা তুলে ধরেছেন। আমি মামলা করতে চাইনি, পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাওয়ার জিডি করতে চেয়েছিলাম। আমি বাইরে থেকে এসে এখানে চাকুরী নিয়েছি। চাপে পড়ে মামলাটি দায়ের করতে হয়েছে। এদিকে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা বলেন, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার দায়ে যদি সাংবাদিক আজাদ অপরাধ করে থাকেন, তাহলে যারা সামাজিক বিচারে ক্ষমা চাওয়ালেন তারাও অপরাধী। তাদের ও বিচার হওয়া উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :