হবিগঞ্জে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি সম্পওি আত্নসাতের অভিযোগ গ্রেফতার ১
দ্যা সিলেট পোস্ট
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ন /
০
নুরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলিল সৃজন করে নামজারির আবেদনের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাত করার অভিযোগে মোঃ আব্দুল কাদির (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম পাকুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল রহমানের ছেলে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল)রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নুর আলম জানান-গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে দুপুরে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলার মিরাশী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে মোঃ আব্দুল কাদিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার বাকী দুই আসামী মোঃ মুখলেছ মিয়া ও মোছাঃ করিমুন্নেছাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে- ১নং আসামী ২ ও ৩নং আসামীদের প্ররোচনায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দলিলপত্র সৃষ্টি করে। ১নং খাস খতিয়ানের এসএ দাগ নং ১৪৭ এবং আরএস দাগ নং ১৯৩, শ্রেণি এসএ লায়েক অঙ্গল, আরএস বাড়ী রকম সরকারি সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য নামজারি আবেদন দাখিল করেন। আবেদনে তিনি তঞ্চকতাপূর্বক সহি মোহরকৃত দলিল সৃজন করে ১.৫১ একর ভূমি দাবী করেন। উক্ত আবেদনের সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্রের সহিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় অসংগতি পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু রেকর্ডপত্র ও সংশ্লিষ্ট স্থায়ী বন্দোবস্ত নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় ২ ও ৩ নং আসামীগণের নামে ০.৫১ একর জেলা প্রশাসক কর্তৃক নথি অনুমোদনক্রমে বন্দোবস্ত পপ্রদান করা হয়। উক্ত দাখিলীয় কাগজপত্র আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছেন মর্মে প্রমাণিত হওয়ায় নামজারি আবেদন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক না-মঞ্জুর করা হয়।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সেলিম মিয়া বলেন-২৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় ১নং আসামী দাখিলীয় দলিলপত্র সঠিক বলে নামজারি না-মঞ্জুর করার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করে আমাকে নানা রকম হমকি ধামকি প্রদান ও অশালীন আচরণ করেন। এখানে আসামীগণ ফোজদারী কার্যবিধি আইনের ৪০৬, ৪২০, ৪৬৩-৪৭৩ নং ধারা ও ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ সনের ৩৬নং আইনের ৪নং বিধি এর (ঙ), (চ) ধারা ও ৫নং বিধির (ঘ) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :