মোঃখাদেমুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :
পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের কাজিরহাট উত্তর তালমা এলাকার (শিউডাঙা) সীমান্তে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শনিবার (৮ মার্চ) ভোরে শিউডাঙা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিন গরু ব্যবসা করতেন। তিনি সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে ছিলেন।
এর আগে সদর উপজেলার মোমিনপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত আনোয়ার তেতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের দেবনগড়-আমজুয়ানি এলাকার বাসিন্দা ছিল।
সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া সীমান্তের ৭৫১ নম্বর মেইন পিলারের ৮ থেকে ৯ নম্বর সাবপিলারের মাঝামাঝি এলাকায় তার লাশ পড়ে ছিল। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার বিএসএফের গুলিতে আল আমিনের নিহত হওয়ার তথ্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ সীমান্তে ভিড় করে। স্থানীয়রা বলছেন, গত রাত ৩টার পরে ৮ থেকে ১০টি গুলির আওয়াজ পান তারা। এর পর সীমান্তের অভ্যন্তরে বিএসএফের চিৎকারের আওয়াজ পাওয়া যায়।
গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ভিতরগড় সীমান্ত বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস হতে আনুমানিক ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভাটপাড়া এলাকায় আল আমিনের নিহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে। সকালে খবর পেয়ে নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আল আমিনের মরদেহ ফেরত চান বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কয়েকবার। তিনি ফোন কল না ধরলেও এ প্রতিবেদককে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে জানান, ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :