আবদুল্লাহ আল মামুন,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ বহু প্রত্যাশিত পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা ঐতিহ্যবাহি উলানিয়া বন্দরে আবারো প্রায় দশ বছর পর নৌ চলাচল শুরু হলেও প্রধান সড়ক হতে লঞ্চঘাট পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহাল দশা।
সরজমিন বিভিন্ন যাত্রী সাধাররণ এবং স্থানীয় উলানিয়া বন্দরের বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সময় দক্ষিণ অঞ্চলের জনপ্রিয় ব্যাবসায়ী বন্দর হিসেবে সারাদেশব্যপী একটি ঐতিহ্য ছিলো।
যা ২০১১ইং সালে আগুন মুখা, বুড়াগৌরাঙ্গ ও তেতুলীয়া নদীর অসংখ্য ডুবচর আর অপরিকল্পিত নদী সাশন করার কারনে রাঙ্গাবালী, উলানিয়া বন্দর থেকে ঢাকা, চাঁদপুর, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর এবং পর্যন্ত নৌজান লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণ অঞ্চলের কৃষি সমৃদ্ধি অঞ্চল হওয়ায়, বিভিন্ন পুরানো ব্যাবসায়ীরা ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য নৌকা ট্টলার দিয়ে পাতার চর নামক স্থান দিয়ে বেশ ক’ বছর পরিচালোনা করে থাকলেও কোটি কোটি টাকা লোকসান হওয়ায, এক পর্যায়ে ঐতিহ্যবাহি ব্যাবসায়ীরাও পথে বসতে শুরু হলে, দক্ষিণ অঞ্চলের রবিশস্য, ধান, পান এবং রুপালী সম্পাদ রপ্তানি না করতে পেরে এ বন্দরের ঐতিহ্য হারাতে শুরু করে বলে তারা জানান।
এদিকে দশ বছর পর উলানিয়া বন্দর হতে পুনোরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় বর্তমান সরকরার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং লঞ্চঘাট সংযুক্ত সড়কের টেকশই সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন ব্যাবসায়ী, জনসাধারণ, এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
উলানিয়া লঞ্চঘাট ইজারাদার মোঃ হুমায়ুন গণকন্ঠকে জানানা, সর্বপ্রথম সরকরার এবং বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌ পরিবহণ কর্পোরেশন এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যে দীর্ঘ দশ বছর পর হলেও বহু প্ররত্যাশিত দক্ষিণ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহির উলানিয়া লঞ্চঘাট বন্দরের সাথে অন্যান্য বন্দরের সাথে সংযুক্ত হলেও সংযোগ সড়কের চলাচলের এক্কেবারে অনউপযোগী। যা ফলে যাত্রী সেবা এবং ব্যাবসায়ী পণ্যজাত আমদানি এবং রপ্তানি করতে পারছেনা। তাই সংশ্লিষ্ট মহলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজরের দাবী জানাচ্ছি।
নৌ পরিবহণ জামাল ৬ এর লঞ্চ সুপারভাইজার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমরা অত্যান্ত আনন্দিত, যে দীর্ঘ দশ বছর পরে আবারো যাত্রী সেবার পাশাপাশি উলানিয়া বন্দরের ঐতিহ্য পুনোরায় ফিরে আসবে। তবে মেইন সড়ক থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত যোগাযোগব্যবস্থা এক্কেবারে সিমাহীন দূর্ভোগে পরতে হয়। যায় ফলে আশানুরূপ যাত্রী এবং ব্যাবসায়ী পণ্যজাত মালামাল আমদানি ও রপ্তানি করতে না পারায় প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে। অচিরেই রাস্তাঘাট ঠিক না হলে পুনোরায় এ বন্দর থেকে নিয়োমিত লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে।
এবিষয়ে পটুয়াখালী নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন খান এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আমাদের সিমান যতোটুকু আছে অচিরেই তা সংস্কার করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন