নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে ॥
হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর আবাসিক এলাকায় পঙ্গু দুদু মিয়ার পরিবারের উপর অমানুষিক নির্যাতন, বৃদ্ধ মা মেয়েকে জোরপূর্বক বাসা থেকে বের করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, মোহনপুর এলাকার পঙ্গু দুুদু মিয়ার সন্তান, অলিউর রহমান রানা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।
হবিগঞ্জ শহরের খাঁজা গার্ডেনের একটি দোকানে দীর্ঘদিন যাবত টেলিকম ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। কিন্তু মহামারী করোনার লকডাউনে ব্যবসাটি বন্ধ হওয়ার কারনে পরিবারের সদস্যদের হাল ধরতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এতে নীরূপায় হয়ে ঋণমুক্ত হওয়ার জন্য তাদের শেষ সম্বল জাগয়াসহ বাসাটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে দুদু মিয়ার স্ত্রীর সৎ ভাই একই এলাকার আঃ আওয়াল তার বোনের জামাই প্রবাসী মুমিন ভুইয়ার জন্য বাসাটি ক্ষয় করার জন্য দরদাম সাব্যস্থ হয় ২২ লক্ষ টাকা। ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে মোখিকভাবে বায়না করা হয়। বাকি ১৯ লক্ষ টাকা রেজিস্ট্রারীর সময় দেওয়ার কথা। গত ১৮ আগস্ট হবিগঞ্জ সাবরেজিস্টার অফিসে রেজিস্ট্রারী করে দেওয়ার সময় পঙ্গু দুদু মিয়ার পরিবার বাকি টাকা দাবি করলে আঃ আওয়াল ও তার বোন জামাই মুমিন ভুইয়া রেজিস্ট্রারী করার পর বাসায় গিয়ে টাকা দিয়ে দিবেন বলে আশ্বস্থ করেণ। সরল বিশ্বাসে তারা জায়গা দলিল করে দেন। বাসায় এসে দুদু মিয়া টাকা দেয়ার জন্য মুমিন ভুইয়া ও আঃ আওয়ালকে বললে তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময় অতিবাহিত করতে থাকেন। টাকার জন্য বার বার তাগিদ দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন মুরুব্বিদের স্বরনাপন্ন হয় দুদু মিয়া। এতেও কোন সমাধান না পেয়ে সাবরেজিস্টার অফিসারের বরাবরে রেজিস্ট্রারী দলিলটি বাতিল করার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ সংবাদ শুনে আঃ আওয়াল ও মুমিন ভুইয়া গং ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৬ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার দিকে পঙ্গু দুদু মিয়ার পরিবারের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা দুদু মিয়ার স্ত্রী আছিয়া খাতুন, তার মেয়ে আফিয়া ও ছোট মেয়ে আফসানা আক্তার রিয়া, নাতি শিশু ইমন মিয়াকে মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দেয়। এ অবস্থায় দুদু মিয়া হবিগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগদায়ের করে।
সদর থানার তদন্ত ওসি দোস মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিত পরিবারকে তাদের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে আছিয়া খাতুনের ছেলে অলিউর রহমান রানা জানান, আঃ আওয়াল তাদের সৎ মামা হওয়ার সুবাদে আমরা বিশ্বাস করে তাদের রেজিস্ট্রারী দলিল করে দিয়ে দেই। কিন্তু পরবর্তীতে দলিলে দেখতে পারি আমার জীবিত বাবাকে মৃত দেখিয়ে ২২ লক্ষ টাকার বাসাটি তারা ৩লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা মুল্যে খরিদ দেখিয়েছে।
মন্তব্য করুন