ব্যতিক্রমী উদ্যোগ— পরিত্যক্ত স্টেশনের ঝোপঝাড় পরিস্কার করল খিদমাতুল খালক্ ফাউন্ডেশন


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন /
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ— পরিত্যক্ত স্টেশনের ঝোপঝাড় পরিস্কার করল খিদমাতুল খালক্ ফাউন্ডেশন

আব্দুল কুদ্দুস, কুলাউড়া

বিভিন্ন বয়সের এক ঝাঁক তরুণ। কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় সামাজিক একটি সংগঠনের ব্যানারে। তারা টিলাগাঁও ইউনিয়নে বিগত সময়ে বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষের পাশে শুকনো খাবারসহ আর্থিক সহযোগিতা, অস্বচ্ছল মানুষদের সহায়তা, জটিল রোগীকে চিকিৎসার জন্য সহায়তাসহ অসংখ্য মানবিক কাজ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্থানীয় এই সংগঠনটির নাম খিদমাতুল খালক ফাউন্ডেশন। উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে তারা সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক তেমনি এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘন্টার এক অভিযানে সিলেট-আখাউড়া সেকশনের টিলাগাঁও রেল স্টেশনে দীর্ঘদিনের লেগে থাকা ঝোঁপঝাড় কেটে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেছেন। স্বেচ্ছায় পরিচালিত তাদের এমন পদক্ষেপ প্রশংসিত হচ্ছে এলাকাজুড়ে।

মূলত খিদমাতুল খালক্ ফাউন্ডেশন টিলাগাঁও, নামের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্টেশন এবং রেললাইনের দুই পাশের ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন। এবং স্টেশনের উভয় পাশের বিশাল এলাকা পরিস্কার করেন। এতে করে প্রায় ১৮ বছর যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা স্টেশনটি নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। স্থানীয় অনেকেই জানান, স্টেশনের পাশ দিয়ে এখন টিলাগাঁও আজিজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়সহ টিলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী এবং কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন।

মানবিক এই কাজে অংশ নেন, খিদমাতুল খালক্ ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক রাফিউজ্জামান খান রুহেল, সমাজসেবক আতিকুর রহমান, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা আল-আমীন, সদস্য সচিব মো. আনুর আলী, সদস্য আরাফাত সালাউদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, রাসেল আহমদ, নুরুল আমিন রুবেল, মো. জালাল উদ্দীন, মাওলানা আলমগীর হোসেন, সৈয়দ কামরান আলী, সায়েদ আহমদ, তায়েফ আহমদ, সালমান আহমদ, ইয়াছিন আলী, মাওলানা মোস্তাকিম আলী, শাকিল আহমদ, আহসান হাবীব, নাঈম আহমদ লাইন, মাওলানা রোহিন মিয়া, রাব্বি হাসান অমি, রাহাদুর রহমান রাহেল, নাঈম আহমদ, সাহদিন আহমদ, অনিক আহমদ, কাতার প্রবাসী কয়েছ আহমেদ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ মিসবাউর রহমান এনাম এবং ফ্রান্স প্রবাসী রাফিউজ্জামান খান রুহেল সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।

সংগঠনের কয়েকজন নেতা জানান, দীর্ঘদিন থেকে পরিত্যক্ত এই স্টেশনে একটা ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরী হয়েছিল। যা মাদকাসেবিদের একটা নিরব আস্তানায় পরিণত হয়। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এমন মহৎ কাজ করা হয়।

সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আল আমিন জানান, “খিদমাতুল খালক ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা মানবতার কাজ ধারাবাহিকবাবে চালিয়ে যাচ্ছি। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কাজ করতে পারায় আমরা গর্বিত। এমন মহতি কাজ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।