মানুষের জন্যই বিএনপির রাজনীতি মানুষকে নিয়েই বিএনপির পথ চলা- জি কে গউছ


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩১, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন /
মানুষের জন্যই বিএনপির রাজনীতি মানুষকে নিয়েই বিএনপির পথ চলা- জি কে গউছ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি। 
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনে জাতীয় কমিটির সদস্য এবং টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা দম্ভোক্তি দিয়ে বলতেন, শেখ হাসিনা পালায় না, কিন্তু চৌদ্ধ গোষ্টি নিয়ে পালিয়েছে। শেখ হাসিনা সহ তার পরিবারের সদস্যরা কেউ ভারতে, কেউ অন্যান্য দেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এটা তাদের কর্মের ফল, অতএব হিসাব করে চলতে হবে। তিনি শনিবার (৩০ আগষ্ট)দুপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচী সফল করতে আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- ভোট আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমার মত প্রকাশের সবচেয়ে বড় ব্যবস্থাই হচ্ছে ভোট। এই ভোটের জন্য দেশের হাজার হাজার মানুষ রক্ত দিয়েছে, নিজের অধিকার আদায়ের জন্য এই দেশের মানুষ শহীদ হয়েছে। গত ৩টি ট্রাম আমরা ভোট দিতে পারি নাই। দিনের ভোট আগের রাতেই শেষ। মরা মানুষের ভোটও আওয়ামীলীগ দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শেষ পরিণতি আওয়ামীলীগকে ভোগ করতেই হল। তিনি বলেন- চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে মানুষের ভালবাসা পাওয়া যায় না। জোর করে মানুষকে মিটিংয়ে আনা যায়, কিন্তু জোর করে মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করা যায় না। এটার প্রমাণ শেখ হাসিনা। সমস্ত প্রশাসন তার কব্জায় ছিল, কেউ তার বাহিরে ছিল না। আমরা সভা সমাবেশ করে বাড়িতে যেতে পারি নাই, তার আগেই পুলিশ আমাদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছে, কেউ আমরা ভোট দিতে পারি নাই। সেই সুযোগ শেখ হাসিনা আমাদের দেয় নাই।
জি কে গউছ বলেন- বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। জনগণের দুর্ভোগ হয়, জনগণের অসুবিধা হয়, জনগণের কষ্ট হয়, এমন কাজ দলীয়ভাবে আমরা করতে পারি না। মানুষের জন্যই বিএনপির রাজনীতি, মানুষকে নিয়েই বিএনপির পথচলা। তাই কঠিন দুঃসময়েও বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ছেড়ে যায়নি। কেউ কেউ ভেবেছিল, বিএনপি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না, বিএনপি আর রাষ্ট্র মতায় যেতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ, জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বিএনপি আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে।
তিনি বলেন- বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আজমিরীগঞ্জের মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহন ছিল। আজমিরীগঞ্জের এসব সংগ্রামী মানুষের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রইল। আজমিরীগঞ্জের মানুষের সাথে আমাদের যে বন্ধুত্ব তৈরী হয়েছে তা মরণ ছাড়া কেউ আলাদা করতে পারবে না। জি কে গউছ বলেন- বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ছাড়া আমাদের কোনো নেতা নেই। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান যখন যাকে যে দায়িত্ব দিবেন, আমরা তাদের নেতৃত্বেই সামনে এগিয়ে যাবো। আমরা কারো প্রতিপ নই, কাউকে প্রতিপ বানাতে চাই না। তিনি বলেন- ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে বড় পরিসরে আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হবে। বাঁধা ছিল, এবার হয়তো বার্ঁধা নেই। কিন্তু চক্রান্তকারীরা থেমে নেই। এ জন্য আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে।
আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নেকদার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামছুল ইসলাম মতিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়াল, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান বাচ্চু, জেলা জাসাসের আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মানিক, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুদ্দিন আহমেদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ফজলুল করিম, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন, আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদুর রশিদ ঝলক, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব প্রমুখ।