হাবিবুর রহমান-হাবিব, শাল্লা (সুনামগঞ্জ) থেকে ঃ
বিশ্বশান্তি কামনায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শাল্লা উপজেলা সদরস্থ ঘুঙ্গিয়ার গাঁও আঞ্চলিক ভক্ত বৃন্দের আয়োজনে ২৪প্রহর (৩দিনব্যাপী) ৪৪তম হরিনাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ২টায় গীতাপাঠের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংকীর্তনের শুভ সুচনা করা হয়।
২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে করে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি দাঁড়াইন নদীর তীরে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার সংকীর্তন মাঠ প্রাঙ্গণে অবিরাম চলবে, শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তনের মহোৎসব।
তিনদিব্যাপী হরিনাম নাম সংকীর্তন উপলক্ষে ভক্তবৃন্দের জন্য দুপুর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত মহা প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উক্ত হরিনাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠানে নাম কীর্তন পরিবেশন করবেন খুলনা জেলার মা ভবতারিণী সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জ জেলার যোগমায়া সম্প্রদায়, সিলেট জেলার নবসখী সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জের সচিদানন্দ সম্প্রদায়, খুলনার আদি রাধারানী সম্প্রদায় ও গোপালগঞ্জের দেবদেবী সম্প্রদায়।
হরিনাম সংকীর্তন পরিচালনা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের শাল্লা উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাশ বলেন জাতি, ধর্ম – বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্যই এই নাম সংকীর্তন, এ সংকীর্তন পৃথিবীর সকল জীবকুলের মঙ্গলের জন্য।
দীর্ঘ ৪৪ বছর যাবৎ নির্বিঘ্নে এই সংকীর্তন উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করে আসছি আমরা। উপজেলা প্রশাসনও আন্তরিকতার সহিত আমাদের সহযোগিতা করেন। এবছর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম হবে বলে জানান তিনি। তবে এই নাম সংকীর্তনে নারীদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন জেলা থেকে নাম কীর্তন প্রেমিকদের আগমণ ঘটে।
সংকীর্তন উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ কান্তি সরকার খোকন বলেন উপজেলার এক ঐতিহাসিক নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা হয়েছে আজ।
৪৪ বছর ধরে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ বপন করে আসছি এই সংকীর্তনের মাধ্যমে। হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব হলেও, এখানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ নাম কীর্তনে আনন্দ পালন করে। পৃথিবীর সকল প্রাণীর মঙ্গল প্রার্থনা করি আমরা এই নাম সংকীর্তনে মাধ্যমে। তিনি আরো বলেন ২৭ জানুয়ারি দধিভঙ্গের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হবে এই সংকীর্তন মহোৎসবের।
মন্তব্য করুন