হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন ও সেবাশ্রমে কুমারী পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় পুজা শুরু হয়ে শেষ হয় ১০টা ৪৫ মিনিটে। দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন প্রতি বছর ১ থেকে ১৬ বছরে বয়সী কিশোরীকে দেবীরুপে পূজা করা হয়। এ বছর হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী হিসেবে পুজিত হয়েছেন মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়ার ৮ বছর বয়সী মিষ্টু ভট্টাচার্য্য সুকন্যা। তার বাবা সুমন ভট্টাচার্য্য ও স্মৃতি চক্রবর্তী। শাস্ত্রীয় নামকরণ করা হয় কুঞ্জিকা। পূজার পূর্বে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিদুরের তিলক এবং পায়ে আলতা। ঠিক সময়ে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে পূজা করা হয় কুমারী মাকে। চারদিক মুখরিত হয় শড়খ, উলুধ্বনি আর মায়ের স্তব-স্থতিতে। এছাড়া কুমারী পুজা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। ওই এলাকাকে যানজট মুক্ত রাখতেও নেয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। কুমারী মাতা কুঞ্জিকা শাস্ত্রীয় নামে আবিভুত। মায়ের দর্শনের জন্য জেলা ও জেলার বাইরে থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী ও ভক্তের সমাগম হয়। রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী দেবময় আনন্দ বলেন, কুমারী পুজা হচ্ছে প্রত্যেক মায়েদের মাতৃভাবে পুজা করার একটি পদ্ধতি। আমাদের নিজেদের মধ্যে কাম, ক্রোধ, লোভ, মাধুর্য্য এসব ঘনিভূত হয়ে অসুরের পরাজয় হয়ে যারা শুদ্ধ শান্তির প্রতীক মা তাদের রক্ষা করবেন এটিই আমাদের প্রার্থনা। মঙ্গলবার (৪অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে সন্ধিপুজা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন