নূরুজ্জামান ফারুকী, হবিগঞ্জ থেকে।।
আগামী ২৮ই নভেম্বর নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তন্মধ্যে ৬নং কুর্শি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। নবীগঞ্জের কুর্শি ইউনিয়নের এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৬ জনের মাঝে ৩ জনের লড়াই হবে বলে ধারনা সাধারন ভোটারদের। এর মাঝে বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসা (নৌকা)ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোর্হী প্রার্থী প্রবাসী আব্দুল মুকিত (চশমা) সর্ম্পককে ছোট বোন জামাই ও সমন্ধিক। আলী আহমদ মুসা আব্দুল মুকিতের আপন ছোট বোন জামাতা। গতবারের নির্বাচনে তার দুজন প্রার্থী হয়েছিলেন। বিজয়ের মালা পরে ছিলেন আলী আহমদ মুসা।
এবারের নির্বাচনে কুর্শি ইউনিয়নে কে হাসাবে বিজয়ের হাসি সে অপেক্ষায় আছেন একালাবাসী। আলী আহমদ মুসা নির্বাচনের মনোনয় জমা দিয়ে লন্ডন চলে যাওয়ায় এলাকায় গুঞ্জন ছিল তিনি অসুস্থ এবং পারিবারিক সমস্যার জন্য নির্বাচন সড়ে দাড়াবেন। এ খবর মুসার কানে পৌছালে তিনি তার সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি পারিবারিক কিছু কাজে এবং অসুস্থ মাকে দেখতে সংক্ষিপ্ত সফরের লন্ডন গ্রমন করেন এবং জনগনের ভালবাসা প্রতিদান দিতে তিনি দেশে আসবেন এবং নির্বাচন প্রচারনায় অংশ নিবেন। তিনি তার কথামতে ১৭ তারিখ দেশে এসেই তিনি প্রচারনা নেমে পড়েন এবং নির্বাচনের হিসাবে সমীকরন পরির্বতন করে ফেলেছেন। এবারের কুর্শি ইউনিয়ন নিবার্চনে ৩ প্রবাসীর মাঝে তুমুল লড়াই হবে। ইউপি নির্বাচনে-আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান প্রবাসী আলী আহমেদ মুসা (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান, প্রবাসী সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ (আনারস), আওয়ামীলীগের বিদ্রোর্হী প্রার্থী প্রবাসী মোঃ আব্দুল মুকিত (চশমা),স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রবাসী আবু তালিব নিজাম (মোটর সাইকেল), প্রবাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল হুদা চৌধুরী (ঘোড়া), প্রবাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মোঃ আব্দুর গফুর (রজনীগন্ধা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়ছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার হচ্ছেন ১৯ হাজার ২৬৮ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৪৮০ জন ও মহিলা ৯ হাজার ৭৮৮ জন। ইতিমধ্যে প্রার্থীদের প্রচারনায় সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।মাইকিং পোষ্টার লিফলেট চেয়ে গেছে নির্বাচর্নী এলাকা।প্রত্যেক প্রার্থী এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।প্রচারণায় ৬ জনই সমানে সমান। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান মুসা অসুস্থ ও পারিবারিক কাজে যুক্তরাজ্য অবস্থান করে গত ১৭ তারিখে এলাকায় এসে রাতদিন প্রচারনার ব্যস্ত সময় কাটিয়ে আলোচনা উঠে এসেছেন। এ ইউনিয়নের মূল লড়াই হবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসা (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ (আনারস) এবং আওয়ামীলীগের বিদ্রোর্হী প্রার্থী মোঃ আব্দুল মুকিত চশমা মার্কার। প্রার্থীদের অব্যাহত প্রচারণায় দিন দিন বদলে যাচ্ছে ভোটের সমীকরন। দলীয় নেতা কর্মীরা দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন দিন-রাত। গ্রাম,পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা ভোর হতে মধ্যরাত পর্যন্ত।এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রচারণায় এবং জনগনের রায়ে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ (আনারস) ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোর্হী প্রার্থী মোঃ আব্দুল মুকিত চশমা। কোন অংশে কম নয় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলী আহমেদ মুসাও ।
সাধারন ভোটারদের সাথে আলাপ করে এমন তথ্য পাওয়া যায়। ভোটাররা বলছেন অবাধ সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসা নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ আনারস এবং আওয়ামীলীগের বিদ্রোর্হী প্রার্থী মোঃ আব্দুল মুকিত চশমার লড়াই ইতি মধ্যেই জমে উঠেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তালিব (মোটর সাইকেল) স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল হুদা চৌধুরী (ঘোড়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মোঃ আব্দুর গফুর (রজনীগন্ধা) প্রচার প্রচারনায় থেমে নেই। সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা যায় এ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দী ৬ জনই নিরসভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে সরকার দলীয় প্রতিক (নৌকা)ও জনগনের ভালবাসায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ এবং আওয়ামীলীগের বিদ্রোর্হী প্রার্থী মোঃ আব্দুল মুকিত রয়েছেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। ২৮নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উৎসব আমেজে ভোট হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভোটারা।
মন্তব্য করুন