আমার পড়ন্ত বেলায় কোনো দূর্নীতি স্পর্শ করতে পারবে না- জি কে গউছ


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ৯:৪০ অপরাহ্ন /
আমার পড়ন্ত বেলায় কোনো দূর্নীতি স্পর্শ করতে পারবে না- জি কে গউছ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি 
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- আমি কাজের মানুষ, পরীক্ষা অনেকবার দিয়েছি। আমি ৩ বার নির্বাচিত হয়ে হবিগঞ্জ পৌরসভায় মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু একটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে এমন মামলা আমার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ দিতে পারে নাই। কারণ অর্থ বিত্তের মালিক হওয়ার জন্য পৌরসভায় যাইনি। এখন আমার বয়স ৫৮ বছর, আমার পড়ন্ত বেলায় কোনো দুর্নীতি আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।
তিনি শনিবার (২৫ অক্টোবর)রাতে শহরের ইনাতাবাদে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এক নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
তিনি বলেন- জুলাই গণঅভ্যূত্থানের পর বাংলাদেশে ৩ দিন কোনো সরকার ছিল না। সেই দিন এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে একটি অডিও বার্তায় খালেদা জিয়ার বললেন, আমরা যেন প্রতিহিংসা পরায়ন না হই, আমরা যেন কেউ ভিন্ন দল, ভিন্ন মত ও ভিন্ন ধর্মের মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য, বাড়ি ঘর অথবা তাদের প্রতি অশোভন আচরণ না করি। দেশের এবং দলের বদনাম হয় এমন কাজ যেন আমরা কেউ না করি। খালেদা জিয়ার এই নির্দেশনায় আমরা শান্ত হয়ে গেলাম। যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার আইন অনুযায়ী হবে, আমরা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিব না। আমরা প্রমাণ করেছি আওয়ামীলীগ আর বিএনপি এক জিনিস না।
জি কে গউছ বলেন- গত ১৭ বছর আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারি নাই। এবার আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিব। এই নির্বাচনে প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে। আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামীলীগের শিখানো পথে প্রশাসন হাটবে না। সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে নিজের ভোট নিজে দেয়ার জন্য। কিন্তু যদি প্রশাসনের কেউ হাসিনার শিখানো পথে হাটেন, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ বিনা চ্যালেঞ্জে কোনো কর্মকর্তাকে ছেড়ে দিবে না।
তিনি বলেন- আমি হবিগঞ্জ পৌরসভায় মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে শহরের রাস্তা প্রশস্থ করেছি, থানার দেয়াল ভেঙ্গে পানির পোয়ারা করেছি, রেল লাইন তুলে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেছি, খোয়াই নদীর মাছুলিয়ায় এম সাইফুর রহমান ব্রীজ, কিবরিয়া ব্রীজ ও রব ব্রীজ নির্মাণ করেছি, আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করে দিয়েছি, গণবিয়ের আয়োজন করেছি, দরিদ্র পরিবারের ছেলেদের সুন্নাতে খৎনা করার ব্যবস্থা করেছি, দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া করতে বই দিয়ে অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেছি, শহরের সব কটি মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনদের দুটি ঈদে ভাতা প্রদান করেছি, পবিত্র হজ্ব যাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, হজ্বের উপকরণ দিয়েছি, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বছর দুইবার সংবর্ধনা দিয়েছি, দুর্গাপূজায় সব কটি মন্ডপে অনুদানের ব্যবস্থা করেছি। আমি কাজের মানুষ, আমার অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আমি বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ ফেলে আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে অন্য ১০জন এমপি যা করতে পারবেন না, আমি হবিগঞ্জে তা করব, ইনশাআল্লাহ।
বিশিষ্ট মুরুব্বি হাজী আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়াল, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, টিপু আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম, আলী আকবর, ছুরত আলী, দুলাল মিয়া, মনিরা খানম, জাহির মিয়া, বাবুল মিয়া, মজিদ মিয়া প্রমুখ।