কমলগঞ্জে প্রখ্যাত সুফী সাধক আজমত শাহ প্রতিষ্ঠিত মসজিদ পুণ: নির্মান এবং আজমত শাহ সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : জুলাই ১২, ২০২৫, ৯:৩৬ অপরাহ্ন /
কমলগঞ্জে প্রখ্যাত সুফী সাধক আজমত শাহ প্রতিষ্ঠিত মসজিদ পুণ: নির্মান এবং আজমত শাহ সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে প্রখ্যাত সুফী সাধক আজমত শাহ প্রতিষ্ঠিত
সিদ্ধেশ্বরপুর জামে মসজিদ পুণ:নির্মান কাজ এবং আজমত শাহ সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সিদ্ধেশ্বরপুর জামে মসজিদ পুণ:নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মঈনুল হাসান। জুনেদ আহমদ খানের সভাপতিত্বে ও সিদ্ধেশ্বরপুর জামে মসজিদ পুণ:নির্মান অনুষ্ঠান কমিটির আহবায়ক এফএম আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক স্বকৃত নোমান, মোজাফফর হোসেন, ড. সরকার আমিন, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাখন চন্দ্র সূত্রধর, অভিযান প্রকাশণীর প্রকাশক মনিরুজ্জামান মিন্টু, সাংবাদিক-লেখক আব্দুল হামিদ মাহবুব, সাংবাদিক ও ছড়াকার আকমল হোসেন নিপু, লেখক-গবেষক আহমদ সিরাজ, মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ আহমদ তরফদার, বইয়ের কোরাস এর সিইও কবি মোজাগিদ আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের কৃতি সন্তান আজমত শাহ সেন্টার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. শোয়েব জিবরান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জুয়েল আহমদ, বিকেলে সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে আজমত শাহ সেন্টারের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহানাজ মুন্নী, কবি সরকার আমিন, লেখক মঈনুল হাসান, স্বকৃত নোমান, মোজাফফর হোসেন, লেখক আহমদ সিরাজ প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া মাহফিল ও শিরনী মাধ্যমে মসজিদের পুণ: নির্মাণ কাজের শুভ উদ্ভোধন করা হয়।

উল্লেখ্য, সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের কৃতি সন্তান অধ্যাপক, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক ড. শোয়েব জিবরান এর দাদার দাদা আজমত শাহ ছিলেন ইরান-তুরান বংশোদ্ভূত সুফি সাধক। তিনি স্থাপন করেছিলেন শতাধিক বছর আগে একটি মসজিদ। সেই মসজিদ বয়সের ভারে জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় আধুনিক ডিজাইনে পুণ:নির্মাণ হতে যাচ্ছে। এছাড়া মসজিদের পাশেই “কবির কুটির” নামে একটি লাইব্রেরি ও বিরামকেন্দ্র নির্মিত হবে। এ উপলক্ষে ঢাকা ও মৌলভীবাজারের সংস্কৃতিজনের এক মিলন মেলা বসে সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে।