কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উপজেলার সীমান্তবর্তী চাতলাপুর চা বাগানে মেয়ের বিয়েতে জ্বালানি কাঠের জন্য নেয়া গাছের খ-াংশকে আটক করেছে স্থানীয় চা শ্রমিকরা। এঘটনায় গাছ চুরির অভিযোগ তুলে কর্মচারীকে চাকুরীচ্যুতের দাবিতে
বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে।
শ্রমিকরা চাতলাপুর চা বাগান কারখানাও অফিসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। মঙ্গলবার বিকালে চা বাগানের একটি প্লান্টেশন এলাকা থেকে জ্বালানি কাঠের জন্য গাছের দু’টি খ-াংশ নিতে চান বাগানের টিলা
বাবু (বাগান কর্মচারী) তৈয়ব আলী।
চাতলাপুর বাগানের শ্রমিকরা জানান, বাগানের টিলা বাবু (বাগান কর্মচারী) তৈয়ব আলী নানা সময়ে অনিয়ম করে আসছেন। শ্রমিকরা গাছের খন্ডাংশ চুরির সময়ে আটক করেছে। পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন বাউরী বলেন, বাগানের টিলা বাবু
তৈয়ব আলী মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে তিনি জ্বালানি কাটের জন্য মঙ্গলবার বিকেলে অবৈধভাবে একটি প্লান্টেশন এলাকা থেকে গাছের খন্ডাংশ কেটে নিয়ে যেতে চান। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে আটক করেছে। এতে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ শুরু
হয়। তিনি বলেন, চা শ্রমিক মারা গেলে তার শেষকৃত্যের সময় চা বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে জ্বালানি কাঠ চেয়ে সহজে পাওয়া যায় না। আর একজন বাগান কর্মচারী মেয়ের বিয়ের জন্য অবৈধভাবে জ্বালানি কাঠ নিয়ে যাচ্ছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল থেকে চাতলাপুর চা বাগানের শ্রমিকদরা অভিযুক্ত বাগান কর্মচারীকে চাকুরিচূত্য করার দাবি জানাচ্ছে। বুধবার সকালে চা বাগান কারখানা ও অফিসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করছে। এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাগরণ যুব ফোরামের সভাপতি মোহন রবিদাস, চা শ্রমকি নেতা সীতারাম বীন, শ্যামল অলমিক প্রমুখ। তাদের একটিইদোবি আজ বুধবারের মধ্যেই অভিযুক্ত চা বাগান কর্মচারিকে চাকুরিচ্যুত করে চা বাগান
থেকে বের করে দিতে হবে।
তবে অভিযুক্ত চা বাগান কর্মচারী তৈয়ব আলী বলেন, আগামী ১০ নভেম্বর আমার বড় মেয়ের বিয়ে হবে। এদিন রান্নার কাজে ব্যবহারে জ্বালানি কাঠের জন্য চা বাগান কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতসারেই পুরাতন গাছের জীর্ণশীর্ণ দু’টি খ-াংশ নিতে চেয়েছিলাম। তবে কিছু সংখ্যক লোকের পূর্ব বিরোধে শ্রমিকদের উস্কিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে চাকুরিচ্যুত করতে এ আন্দোলন শুরু করেছে। এটি নিয়মতান্ত্রিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
চাতলাপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার বিকেলেই অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর এ চা বাগানের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন,
বুধবার বিকেলে চা শ্রমকিদের সাপ্তহিক মজুরি প্রদান করা হয়। চা শ্রমিকরা যদি শান্ত না হয় তা হলে স্বাভাবিকভাবে মজুরি প্রদান করা যাবে না।
মন্তব্য করুন