আব্দুল জলিল,যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শার পল্লীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ঝর্ণা খাতুন(৩০) নামে দুই সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে ।
শুক্রবার(১ লা অক্টোবর) উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাগেছে,গত ১০/১২ বছর আগে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার খোরদো গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ঝর্ণা খাতুনের বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে।তাদের সংসার জীবনে দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। যাদের বয়স ৭/৮ বছর।ফারুক পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। প্রথমে তাদের সংসার জীবন ভালো চললেও গত কয়েক বছর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো।তারই জেরে গতকাল রাতে স্বামী ফারুক স্ত্রী ঝর্ণাকে মারধোর করে।পরে সকালে ঘরের আড়ার সাথে ঝর্নার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
গৃহবধূর ভাই তরিকুল অভিযোগ করে বলেন,আমার বোনকে যখন ফারুকের সাথে বিয়ে দেই তখন তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিলো না।গত কয়েক বছর ধরে আমার বোনের জামাই যৌতুকের টাকার জন্য প্রায় আমার বোনকে মারধোর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো আর টাকা আনতে বলতো। বোনের সুখের কথা ভেবে আমরা কয়েক বারে ফারুককে অনেক টাকা পয়সা দিয়েছি। কিন্তুু গত কয়েকমাস ধরে আমার বোনজামাই ফারুক আবার আমাদের কাছে যৌতুকের আড়াই লাখ টাকা দাবী করে। যে টাকা না দিতে পারায় প্রায় আমার বোনের উপর চালাত অত্যাচার নির্যাতন। আমার বোন আত্মহত্যা করেনি তাকে পিটিয়ে হত্যা করে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওসি বদরুল আলম খান জানান,এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুের মামলা হয়েছে এবং লাশটি উদ্ধার করে পোষ্ট-মর্ডানের জন্য যশোর মর্গে পাঠানে হয়েছে।
মন্তব্য করুন