
মোতাব্বির হোসেন, হবিগঞ্জের বানিয়াচং থেকে
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হাওরাঞ্চলে বোতল জাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বন্ধ রেখে তেল সরবরাহকারী ১০ টি কোম্পানির ডিলার গণ। যার ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে।
আজ ১২-৩-২২ইং বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন কালে ব্যাবসায়ীদের নিকট থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বড়বাজার আবুল কালাম ষ্টোরে কোন বোতল জাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায় না। বিভিন্ন বাজারের শতাধিক ব্যাবসায়ী জানান ডিলার বোতল জাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। উপজেলা সদর ছাড়া হাওরাঞ্চলের বাজারে চড়া মূল্যে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বাজার দূর্গম এলাকায় হওয়ায় প্রশাসন নজরদারি করতে পারছেন না। যোগাযোগে দূর্গম বাজার বানিয়াচং এর কুমড়ী,বিথঙ্গল, মুরাদপুর। কাদির গঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা, পাহাড়পুর, সহ হাওরাঞ্চলের বাজার গুলো নিয়ন্ত্রণ হীন হয়ে উঠেছে। তবে খুচরা ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ পাইকারি ও ডিলারদের নিয়ন্ত্রণ করলে তেলের মূল্য কমে যাবে। এছাড়া চালের দাম লাগামহীন। মোটা চাল ৫৫ কেজি ও চিকন চাল ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভূক্ত ভোগীদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়। হাওরাঞ্চলে একমাত্র কৃষি কাজ ছাড়া অন্য কাজ কম। কৃষি কাজে এক জন শ্রমিকের দিনমজুরি ৩০০/টাকা। এটাকা দিয়ে পরিবার ভরনপোষণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অবিজ্ঞমহলের মতে রেশনিং পদ্ধতি চালু করলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট কিছুটা কমবে।
আপনার মতামত লিখুন :