বাহুবল তিতারকোনা স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল দশা


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : মে ৫, ২০২৫, ৯:০৯ অপরাহ্ন /
বাহুবল তিতারকোনা স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল দশা
নুরুজ্জামান ফারুকীহবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুরের তিতারকোনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
তবে গত চার মাস ধরে ওষুধের অভাব ও জনবল সংকটে কেন্দ্রটি কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে, ফলে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ নেই। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, অন্তঃসত্তা মা ও জন্মনিরোধ কপাটি, ইনপ্ল্যান, ভ্যাসেকটমি, টিউবিকটমি কার্যক্রম ও সাধারণ চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। ফলে কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে সেবা না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ লোকজনকে। এতে করে প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধারণ রোগের চিকিৎসার জন্য তারা এই কেন্দ্রেই ভরসা করতেন। কিন্তু ওষুধ না থাকায় চিকিৎসকরা কেবল ব্যবস্থাপত্র দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, যা দরিদ্র রোগীদের জন্য বড় ধরনের সমস্যা। জনবল সংকটের কারণে নরমাল ডেলিভারি সেবা ব্যাহত হচ্ছে। কেন্দ্রটিতে নরমাল ডেলিভারি সেবা চালু থাকলেও, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল না থাকায় অনেক সময় এই সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে বা ছুটির দিনে প্রসববেদনায় আক্রান্ত নারীরা এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
কেন্দ্রটির বর্তমান দায়িত্বরত ইনচার্জ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (FWV) মুক্তি রাণী দে জানান, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ রোগী সেবা নিতে আসে। এর মধ্যে অনেকেই গর্ভবতী মা। ওষুধ সরবরাহ না থাকায় খুব বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। গ্রামের দরিদ্র মানুষ চিকিৎসা ও ওষুধের জন্য আসে। তাদের ওষুধ না দিলে ব্যবস্থাপত্র নিতে চায় না। সেবার মান বাড়াতে কাজ করলেও কিছু জনবল সংকট রয়ে গেছে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও ফার্মাসিস্টের পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে হামিদা নামে একজন আয়া ও আব্দুল জলিল নামে একজন নাইট গার্ড রয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে তিতারকোনা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ওষুধ সরবরাহ ও জনবল সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। খোজ নিয়ে জানাগেছে শুধু মিরপুরই নয় সকল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র গুলোতে ওষুধ নেই, চিকিৎসক ও জনবল সংকটে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই কেন্দ্রটির কার্যক্রম সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন নজরুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস ধরে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ নেই। চিকিৎসক ও জনবল সংকটে চিকিৎসা ও জন্মবিরতিকরণ কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুধু ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। আশা করি জুনের পরে হয়তো বরাদ্দ আসতে পারে।