স্টাফ রিপোর্টার।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) একটি যৌনবাহিত ভাইরাস। শতকরা ৯৯ ভাগ জরায়ুমুখ ক্যান্সার এইচপিভি ভাইরাস দ্বারা হয়। আজকের কিশোরী আগামী দিনের মা, তাদের সুস্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এই টিকা টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কিশোরী তথা নারীদের সুরক্ষায় বিনামূল্যে সরকার টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে উপজেলা কো-অর্ডিনেশন বা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
মূল বিষয় উপস্থাপন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা রহমান।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুসরাত ফেরদৌসী, মাধ্যমিক শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার সম্পদ কান্তি তালুকদার, বানিয়াচং প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর রহমান, ইমাম সমিতির সভাপতি কাজী আতাউর রহমান, মোখলেছুর রহমান, গোবিন্দ লাল দাস প্রমুখ।
সভায় আরও জানা যায়,বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ূমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট।
এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর।
মন্তব্য করুন