নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে।
আজ ১৭ মার্চ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী। সরকারিভাবে দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হবে। আজ সরকারি ছুটি।১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো আলাদা কর্মসূচি পালন করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাঁর বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত হৃদয়বান, মানবদরদি কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। স্কুলজীবন থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। এ দেশের মানুষের কাছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে আমরা জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করেছি। এই দিনে আমি জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আগামী দিনের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব, সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহাসিক ভাষণ সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। যার ফলে আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।
দিবসটি উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সপ্তাহব্যাপী পুস্তক ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সারা দেশে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
হবিগঞ্জে কর্মসূচি: আজ সকাল ৯টায় হবিগঞ্জে নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। সকাল সাড়ে ৯ টায় নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গনে থেকে র্যালী বের হয়ে তিনকোনা পুকুর পাড় হয়ে আবার নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গনে এসে শেষ হবে। সকাল সাড়ে ১০ টায় নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী সুবিধামত সময়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ। শিশুদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জীবনী ভিত্তিক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে সুবিধামত সময়ে। বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে সকল মসজিদ/মন্দির/গির্জা ও প্যাগোডাসমূহ। হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারসমূহে উন্নতমানের খাবার সরবরাহ হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বড় পর্দায় সম্প্রচার করা হবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে। ১৬ মার্চ হতে ১৭ মার্চ আলোকসজ্জা ও বর্ণিল পতাকা সহকারে সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ করা হবে সকল সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত ভবন ও স্থাপনাসমূহে।
দিবসটি উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সপ্তাহব্যাপী পুস্তক ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সারা দেশে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
হবিগঞ্জে কর্মসূচি: আজ সকাল ৯টায় হবিগঞ্জে নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। সকাল সাড়ে ৯ টায় নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গনে থেকে র্যালী বের হয়ে তিনকোনা পুকুর পাড় হয়ে আবার নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গনে এসে শেষ হবে। সকাল সাড়ে ১০ টায় নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী সুবিধামত সময়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ। শিশুদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জীবনী ভিত্তিক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে সুবিধামত সময়ে। বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে সকল মসজিদ/মন্দির/গির্জা ও প্যাগোডাসমূহ। হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারসমূহে উন্নতমানের খাবার সরবরাহ হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বড় পর্দায় সম্প্রচার করা হবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে। ১৬ মার্চ হতে ১৭ মার্চ আলোকসজ্জা ও বর্ণিল পতাকা সহকারে সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ করা হবে সকল সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত ভবন ও স্থাপনাসমূহে।
ReplyForward |
মন্তব্য করুন