হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পানিউমদা ইউনিয়নের সার ডিলার মেসার্স ওসমান ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধিকারী নুরুল আমিন ওসমানের বিরুদ্ধে ন্যায্যমুল্যে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার বিক্রি না করে কালোবাজারে বিক্রি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে এলাকার সাব ডিলার মোজাহিদ আহমদ, মোঃ ফয়েজ মিয়া, মোজাম্মিল হক, কৃষক ও ইউপি সদস্য জাবেদ খান, দুলদুল আহমদসহ প্রায় ২ শতাধিক কৃষকের স্বাক্ষরিত অভিযোগ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩নং পানিউমদা ইউনিয়নের সার ও বীজ বিক্রির জন্য সরকারী ডিলার হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে মেসার্স ওসমান ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধিকারী নুরুল আমিন ওসমান। এলাকার সাধারণ কৃষকদের ন্যায্য অধিকার ন্যায্যমুল্যে সার পাওয়ার জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। ফলে গত ২৭ নভেম্বর এলাকার সাব ডিলার মোজাহিদ আহমদ, সাব ডিলার মোঃ ফয়েজ মিয়া, সাব ডিলার মোজাম্মিল হক, কৃষক ও ইউপি সদস্য জাবেদ খান, দুলদুল আহমদসহ প্রায় ২ শতাধিক কৃষকের স্বাক্ষরিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর ডিলার ওসমান কৃষকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে এবং সাব ডিলারদের কাছ থেকে ক্যাশ মেমোতে স্বাক্ষর আদায় করেন। এমনকি অভিযোগকারী মোজাহিদ আহমদের কাছে টাকা পাওনা রয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অক্টোবর মাসের মাসিক সমন্বয় সভায় সার ডিলার মেসার্স ওসমান ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধিকারী নুরুল আমিন ওসমানের বিরুদ্ধে গুদামে সার লুকিয়ে রেখে কৃষক ও সাব ডিলারদের কাছে বিক্রি না করে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগের ব্যাপারে আলোচনা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়। অভিযোগে কালোবাজারে সার বিক্রি, সাব ডিলার ও সাধারন প্রান্তিক কৃষকদের সাথে প্রতারনার হাত থেকে বাচাতে ডিলারশীপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগের জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট দাবী জানানো হয়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহরিয়ার বলেন, সার ডিলার ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন