সিলেট প্রতিনিধিঃ গত কয়েক বছর ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে একটি অসাধু সিন্ডিকেট। বছরের কিছুটা সময় তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। মূলত- কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে তারা এসব জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে অবৈধ পথে টাকা রোজগার করতে চায়।
গেল ২ বছর ঠিক ওই সময়ে পেয়াজের দাম ছিল ২০০-২৫০ টাকা। এবারও গত ৩-৪ দিন থেকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পেয়াজের দাম। গেল সপ্তাহে পেয়াজ প্রতি কেজি ছিল ৩৫-৪০ টাকা। প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পাওয়া যেত ১৫০-১৮০ টাকায়।
কিন্তু এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১৫টা। গতকাল মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাত নগরীর বন্দরবাজার খুচরা দোকানে গিয়ে দেখা যায়- পেয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। প্রতি পাল্লা ২৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর রিকাবীবাজার এলাকার এক ক্রেতা জানান, গেল সপ্তাহে এক পাল্লা পেয়াজ কিনেছি ১৫০ টাকায়। আজ বলছে ২৭৫ টাকা। প্রতি কেজিতে ১৫টাকা করে বেড়েছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন মুদি দোকান ঘুরে দেখা যায়, সাইজ ভেদে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে।
এদিকে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের আগাম শাক-সবজি। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি এখন নগরীর বাজারগুলোতে সরবরাহ আছে মুলাশাক, লালশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, মূলাসহ আরও কয়েকটি শীতকালীন সবজির। তবে বাজারগুলোতেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। এদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দামও।
তবে সবজি বিক্রেতারা বলছেন, আগে ভাগেই বাজারে আসায় শীতে এই সবজিগুলোর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি।
তবে ক্রেতারা বলছেন, শীতের এই আগাম শাক-সবজির দাম অনেক বেশি।
বন্দরবাজারে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, সিজনের আগে সবজি আনলে ক্রেতাদের চাহিদা থাকে বেশি। তাই একটু দাম দিয়েই পাইকারদের কাছ থেকে শীতের সবজি কিনতে হয়। শিম, টমেটো, বাঁধাকপির মধ্যে ক্রেতাদের শিমের প্রতি আগ্রহই বেশি।
পেয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পেয়াজের সংকট। তাই চড়া দামে পেয়াজ কিনতে হয়েছে। দাম বেশি দিয়ে কিনলে তো দাম বাড়িয়ে বিক্রিও করতে হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন- মূলত বাজারে পেয়াজের সংকট নেই। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা পেয়াজের দাম বাড়াতে চাইছেন।
মন্তব্য করুন