ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশে ৭ লাখ ১০ হাজার ৪৬৮ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ এর মে পর্যন্ত এই পুনর্বাসন হয়।এর মধ্যে ব্যারাক হাউস নির্মাণের মাধ্যমে এক লাখ ৬৮ হাজার ৪৮টি পরিবার, নিজ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে এক লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩ পরিবার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য সাত হাজার ৯২টি ঘর, ঘূর্ণিঝড় আমফান ও নদী ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার একশ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীনদের কক্সবাজারের খুরুশকূলে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ২০টি বহুতল ভবনে প্রথম পর্যায়ে ৬৪০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আরও ১১৯টি বহুতল ভবন নির্মাণের কার্যক্রম চলমান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী জেলা বর্তমানে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে ভূমি-গৃহহীন ও অসহায় পরিবারদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন। তার নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালের ১৯ মে কক্সবাজার ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর আমি ২০ মে সেন্টমার্টিন পরিদর্শন করি। সেখানে গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের নির্দেশনা প্রদান করি।
‘আমার নির্দেশনায় উজ্জীবিত হয়ে একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার দান করা জমিতে পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত হচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :