হবিগঞ্জ প্রতিনিধি॥
নবীগঞ্জ শহরের শেরপুর রোডের মাহমুদা ভিলায় অবস্থিত রেঞ্জার ফিজিওথেরাপী ক্লিনিক সেন্টারে অসামাজিক অনৈতিক কার্যকালাপের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জনৈক গৃহবধূ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ফিজিওথেরাপী ক্লিনিকের ভিতরে অনৈতিক কাজের ছবি ও ভিডিও ক্লিপ দিয়ে একটি ষ্ট্যাটাস দেন। এতে ঘটনাটি লোকজনের মুখে মুখে ও ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এদিকে ঘটনায় ফিজিও থেরাপীর মালিক হাফেজ আব্দুল্লাহ নাঈম উল্টো থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন।
জানা যায়, জনৈক গৃহবধূ তার চাচী শাশুড়িকে নিয়ে ডাক্তারি পরামর্শে থেরাপী দেওয়ার জন্য হাফেজ আব্দুল্লাহ নাঈমের রেঞ্জার ফিজিওথেরাপী ক্লিনিক সেন্টারে যান। এ সময় আব্দুল্লাহ নাঈম রোগীর খোজ খবর নেওয়ার জন্য ওই গৃহবধূর মোবাইল নাম্বার রাখেন। পরে আব্দুল্লাহ নাঈম রোগীর খোজ খবর নিতে ওই মহিলার সাথে ফোনে কথা বলেন। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ নাঈম গৃহবধূর ওয়াটসাপে নগ্ন ছবি ও ভিডিও প্রেরণ এবং তাকে কুপ্রস্তাব দেন। ওই গৃহবধূ নাঈমের নাম্বার ব্লক করে রাখলে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বিরক্ত ও কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন। এমনকি তার এক প্রভাবশালী নেতার নাম ব্যবহার করে হুমকি দেয় গৃহবধুকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেঞ্জার ফিজিওথেরাপী ক্লিনিক প্রথমে নবীগঞ্জ শহরের মধ্য বাজারে একটি দোকান কোটা ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় তিনজন মহিলা দ্বারা থেরাপী পরিচালনা করা হয়। এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পরে থেরাপী সেন্টারের স্থান পরিবর্তন করে শেরপুর রোডে সুবিশাল একটি বিল্ডিংয়ে স্থানান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে থেরাপী সেন্টারের মালিক হাফেজ আব্দুল্লাহ নাঈমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। এ ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন। এ জন্য তিনি থানায় অভিযোগ করছেন বলেও জানান।
এ ব্যাপারে ওই গৃহবধু বলেছেন, রেঞ্জার ফিজিও থেরাপীর মালিক তাকে যৌন নিপিড়নসহ বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং ভিডিও কল দিয়ে তার বিবস্ত্র অঙ্গ দেখিয়ে তার জীবন বিষিয়ে তোলেছে। তিনি ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতের আশ্রয় নেবেন বলেও দাবী করেছেন।
মন্তব্য করুন