ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী করিমুল ইসলাম এর মেয়ে কেয়ামনি কে বিয়ে করার অপরাধে মধ্যযুগীয় কায়দায় জামাই নাসিরুল (২২) কে গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনায় শাশুড়ি সেলিনা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে রানীশংকৈল থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ১১ টার সময় গ্রেফতার করা হয়।
(২০ সেপ্টেম্বর) সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ি মধ্যপাড়া স্ত্রী কেয়ামনির সঙ্গে দেখা করতে এসে নির্যাতনের শিকার হয় নাসিরুল ইসলাম। নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই ভিডিও শেয়ার করে অপরাধিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।
নাসিরুল ইসলাম ভাংবাড়ি দক্ষিণপাড়া খলিলুর ইসলামের ছেলে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, গরিব ঘরের ছেলে নাসিরুলের সঙ্গে ভাংবাড়ি মধ্যপাড়া করিমুলের মেয়ে কেয়ামনি (১৮) দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করে।
এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার ছেলের পরিবারকে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ দিতে থাকে। এমনকি তাদের বিয়ে মেনে নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয় মেয়ের পরিবার।
মেয়ের পরিবারের অবস্থা ভালো হওয়ায় ছেলের পরিবার ভীত হয়ে ছেলেকে ফিরে আসার আকুতি জানায়, মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ছেলে তার স্ত্রী কোয়ামনিকে তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য যে, গত (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাংবাড়ি মধ্যপাড়া স্ত্রী কেয়ামনির সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়ি যায় নাসিরুল ইসলাম। এসময় কেয়ামনির বাবা করিমুল-মা সেলিনা, নাসিরুলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে, ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানিয়েও রক্ষা পায়নি।
অবশেষে রাণীশংকৈল থানার পুলিশ গিয়ে নাসিরুলকে উদ্ধার করে, তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গত (২২ সেপ্টেম্বর) বুধবার রোগী”কে আশংকাজনক অবস্থায় দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে রানীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, মেয়ের মা সেলিনাকে আজ শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন