তেতুলিয়া প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে নিজ স্ত্রী ছালমা আক্তারের প্রতারণায় দিশেহারা তার স্বামী আলমগীর হোসেন। স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করে এই ফাঁকে অপর একজনকে বিয়ে করেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। স্ত্রীর এমন প্রতারণায় বিব্রত স্বামী আলমগীর এখন চোখের জল মুছছেন। নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরতে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
মামলা ও অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার রণচণ্ডী গোয়াবাড়ি এলাকার আলমগীর হোসেন পারিবারিকভাবেই বিয়ে করেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ঠুটাপাখুরী এলাকার ছালমা আক্তারকে (২৮)। এটি ছিলো দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। ২০১৭ সালে হঠাৎই ছালমা সব কিছু নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করে। ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি বাড়ি করে দেয়ার শর্তে মামলাটি আপোষের জন্য এ্যাফিডেভিট করে ছালমা। সেখানে স্বামীর সাথে আগের মতো সংসার কথার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এই সমঝোতার পর আলমগীর প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করে ছালমার বাবার বাড়িতে একটি আধাপাকা বাড়ি করে দেন। একই সাথে তাদের সব ধরণের খরচ বহন করতেন তিনি। এদিকে বাড়ি নির্মিত হওয়ার পর ছালমা গোপনে মাহামুদুল হাসান নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে কর, এবং গত ২০২০ সালে পঞ্চগড় কোর্ট পাড়ার নৈশ প্রহরী আজাহারুল (৪০)কে বিয়ে করে টাংগাইল আব্দুল রাজ্জাক নামের পীড় সাহেবের বাড়িতে।এ ঘটনাটি ফাস হয়ে পড়লে তখন তিনি স্বীকার করেন বলে জানাযায়।
স্থানীয় সুত্রে জানায় তেতুলিয়া উপজেলার গোয়াবাড়ি গ্রামের প্রথম বিয়ে মুকুল, ২য় বিয়ে রনচন্ডি এলাকার আলমগীর, ৩য় বিয়ে জগদল এলাকার মিঠাপুকুর এলাকার কফিলউদ্দিনের পুত্র আজাহারুল, পঞ্চগড় এলাকার মাহামুদুল সহ চার বিয়ে ছিল প্রতারনাকারী বহুরুপী ছালমার।
ছালমার প্রতিবেশি রফিকুল ইসলাম বলেন, আলমগীর শুধু ছালমার নয় আগের স্বামীর দুই সন্তানেরও খরচ বহন করতো। বাড়িটিও তিনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। সমঝোতার পরও ছালমা অন্যত্র বিয়ে করেছেন বলে আমরা জেনেছি।
আলমগীর হোসেন বলেন, আমি কেবল আমার মেয়ের জন্য তার নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছি। সে যখন যেমনটা বলেছে তেমনটিই করেছি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। মামলা আপোষের জন্য এ্যাফিডেভিট করার পরও সে গোপনে অন্যত্র বিয়ে করেছে। একটি নয় আমরা জেনেছি দুই ব্যক্তিকে বিয়ে করেছে। তবে কৌশলগত কারণে সে রেজিস্ট্রি না করে কেবল মৌলানা দিয়ে বিয়ে করেছে। একজনের বিয়ের প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। সে আদালতে আমার সাথে সংসার করার কথা বলছে আর ভেতরে অন্যত্র বিয়ে করেছে। এমন নারীর সাথে সংসার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তার প্রতারণায় আমি নাজেহাল হয়ে গেছি। আমি তার কাছ থেকে মুক্তি চাই।
এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ছালমার বাড়িতে গেলে তার বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন