ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট
এবছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ভোলায় চমক সৃষ্টি করেছে মো. মিয়াদ হাসান সান, মো. মেহেদী হাসান ও মুশফিকা জাহান মুন নামে যমজ তিন ভাই-বোন। তারা তিনজনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।
যমজ এই তিন ভাই-বোন ভোলার দৌলতখান পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা মো. মোসলেহ উদ্দিন ও বিবি খাতেমা বেগমের সন্তান। মো. মোসলেহ উদ্দিনের ভোলার বাংলাবাজারে টিভি ও ফ্রিজের শো-রুমের ব্যবসা রয়েছে ও মা বিবি খাতেমা বেগম দৌলতখান উপজেলার ৫৬নং ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
মো. মোসলেহ উদ্দিন ও বিবি খাতেমা বেগম জাগো নিউজকে জানান, ২০০৪ সালের ১৫ই মে সকাল ৭ টায় বাসায় তাদের প্রথম সন্তান মুশফিকা জাহান মুন জন্মগ্রহণ করে। পরে সমস্যা দেখা দিলে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মো. মিয়াদ হাসান সান ও দুপুর ১২টার দিকে মেহেদী হাসান জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই ওরা তিন ভাই-বোন পড়াশুনায় অনেক মনোযোগী। ২০১৩ সালে দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিন ভাই-বোন পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে দৌলতখান সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় দুই ছেলে ও দৌলতখান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেয়ে জিপিএ-৫ পায়। ২০১৯ সালে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তারা এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় দুই ছেলে দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজ থেকে ও মেয়ে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
‘আমাদের ছেলে-মেয়েদের সাফল্যে আমরা অনেক খুশি। মেয়ের স্বপ্ন রয়েছে বিসিএস ক্যাডার হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হবে এবং ছেলে মো. মিয়াদ হাসান সানের স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার ও ছোট ছেলের স্বপ্ন পাইলট হওয়ার। আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করে যাবো ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন পূরণের জন্য। এজন্য সকলের দোয়া প্রার্থনা করছি।’
দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ গোবিন্দ সরকার জানান, মো. মিয়াদ হাসান সান ও মো. মেহেদী হাসান দুই ভাই পড়াশুনায় অনেক মনোযোগী। তারা অনেক মেধাবী।
দৌলতখান উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. তারেক হাওলাদার জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় যমজ তিন ভাই-বোনের সফলতা দৌলতখান উপজেলার জন্য গর্বের বিষয়। তাদের কোনো সহযোগিতা লাগলে উপজেলা প্রশাসন থেকে করা হবে।
মন্তব্য করুন