সিলেট প্রতিনিধিঃ
১৪ই ফেব্রুয়ারি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ৩১ বসন্ত পেরিয়ে ৩২-এ পা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ১৪ই ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর ১০টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে তারা। এছাড়া, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু চত্বরে একটি শোভাযাত্রা আয়োজন করে। শোভাযাত্রা শেষে ১০টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে কেক কাটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবান্ধব। এখানে কোনো সমস্যা থাকবে না। টং আধুনিক করা হবে, খাবারের সমস্যা থাকবে না। ইন্টারনেট সমস্যা সমাধানে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। করোনার সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অংশ নেওয়ার জন্য মোবাইল ডাটা দিয়েছি, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ভুল করতে পারে কিন্তু শিক্ষকরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে কাজ করে যাবে। তোমরা আমাদের সন্তান, অভিভাবক হিসেবে আমরা কাজ করে যাবো। প্রতিটি বিভাগে আমরা ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছি। যাতে শিক্ষার্থীরা কোন সমস্যায় পড়লে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারে।
তিনি আরো বলেন, অন্যায় আবদার করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাথা নত করবে না, একজনও যদি ন্যায্য কথা বলে তাহলে আমরা গুরুত্ব দিয়ে এটা সমাধানের ব্যবস্থা করবো। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করি নাই, ভবিষ্যতেও করবো না। আমরা ন্যায় এবং সত্যের পথে থাকবো। আপনারা দেখতে পেয়েছেন সত্য এবং ন্যায় আজকে বিজয়ী হয়েছে, টিকে আছে। মিথ্যা আজকে পরাভূত হয়েছে।
মিডিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি ভালো কাজ করলে তুলে ধরবেন, অন্যায় থাকলেও তুলে ধরবেন কিন্তু মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় আমার আপনার সকলের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আপনারা শুনে খুশি হবেন, ৩০ বছর পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর করেছি আমরা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। এই বছরের মধ্যে ৫ শতাধিক ছাত্রী হলে থাকার ব্যবস্থা হবে। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে শতভাগ ছাত্রী হলে থাকতে পারবে।
সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই, শিক্ষকরা অভিভাবকের জায়গা থেকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে।
মন্তব্য করুন