সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানাপুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হরিপুর বাজারের একটি দোকান থেকে চুরি হওয়া ৫টি মোবাইল ফোন সেটসহ ২ চোরকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে হরিপুর বাজারের আল মক্কা ফোন সেন্টারে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদের নির্দেশনায় উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. দিদারুল আলম দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে গত ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে পীরের বাজার থেকে মোহাম্মদ আলী (১৯) নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার সোয়াপুর গ্রামের মোঃ সোহেল মিয়ার ছেলে। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আদালতে তিনি চুরির ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মোহাম্মদ আলীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. দিদারুল আলম ও শফিক মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান থানাধীন আটগ্রাম (পীরেরচক হাজি ভিলা রোড) গ্রামের বাসিন্দা মৃত রফিক মিয়ার ছেলে জালাল আহমদ (২৮) ও তার ছোট ভাই আলাল উরফে বিলালকে (২০) আটক করে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উপজেলার হরিপুর বাজারে আল মক্কা ফোন সেন্টারে চুরির ঘটনা স্বীকার করে এবং পুলিশ তাদের তিন জনের নিকট হতে ৫টি মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে এই চুরির ঘটনায় তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তিনজন আটক করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ আটককৃত শিক্ষার্থীরা চুরির ঘটনায় জড়িত নয় মর্মে তাদের মুক্তির দাবিতে এবং প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনের পর পুলিশ ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করে এবং দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে চুরির ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে এবং আল মক্কা সেন্টারের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রকৃত চোর ও তার সহযোগিদের আটক করতে সক্ষম হয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, আল মক্কা ফোন সেন্টারে চুরির ঘটনাটি আমরা চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করি। সেই মোতাবেক দীর্ঘ সময় নানা কলা-কৌশল এবং সর্বশেষ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা চুরির প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং চোরদের আটক করতে সক্ষম হই। তাদের কাছ হতে ৫টি চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করি এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করি। আটককৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে চুরির ঘটনা স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন