ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। সেখান থেকে বাদ যাচ্ছে না বাংলাদেশও। বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শনাক্তের হার। কয়েকদিন করোনায় আক্রান্ত অনেক বেড়ে গেছে।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে নানা নির্দেশনা, বিধিনিষেধ। এখনো চালু রয়েছে নো মাস্ক, নো সার্ভিস। অথচ গণপরিবহন ও বাজার থেকে শুরু করে সবখানের চিত্র বলছে, কাজীর গরু কিতাবেই আছে, বাস্তবে গোয়াল শূন্য।
দেশে প্রায় তিন মাস পর আবারও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবারের মতো শনিবারও শনাক্তের সংখ্যা হাজারের বেশি ছিল। যদিও শনাক্তের সংখ্যা শনিবার কিছুটা কম ছিল। সাড়ে তিন মাস পর দেশে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে উঠেছে।
এ সময় শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১১৬ জন। শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর মৃত্যু হয়েছে একজনের। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনা এখন ঢাকাকে কেন্দ্র করে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, শনিবার যে এক হাজার ১১৬ জন শনাক্ত হয়েছেন, তার মধ্যে ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলার রোগী ৯২১ জন। অর্থাৎ, ৮২ দশমিক ৫২ শতাংশই ঢাকার রোগী। আর ঢাকা বিভাগে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৯৪৩ জন।
একই অবস্থা ছিল শুক্রবার (৭ জানুয়ারি)। ওইদিন শনাক্ত হওয়া এক হাজার ১৪৬ জনের মধ্যে ঢাকা জেলারই ছিল ৯০২ জন। অর্থাৎ শনাক্তের ৭৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) এক হাজার ১৪০ জনের মধ্যে ঢাকা জেলায় শনাক্ত হয়েছিল ৯৫০ জন। শতাংশের হিসাবে যা ৮৩ দশমিক ৩৩।
অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ওমিক্রনে শনান্ত হয়েছেন ২১ জন। তারা সবাই ঢাকা জেলার বলে জানিয়েছে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি)। তবে এ সংখ্যা নিয়ে ভিন্নমত বিশেষজ্ঞের।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরে রোগী আছে, সেটা হয়তো আমাদের শনাক্তের মধ্যে নেই। দীর্ঘদিন শনাক্তের হার ১ ও ২ শতাংশে থাকলেও বর্তমানে তা বেড়েই চলছে। এর কারণ শুধু ওমিক্রনই নয় ডেল্টাও দায়ী।’
আইইডিসিআরের এ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘ওমিক্রন ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করবে এটা স্বাভাবিক। ওমিক্রন হয়তো বাড়ছেও কিন্তু এখনো ডেল্টাকে রিপলেস করতে পারে নাই, ডেল্টাই আমাদের এখানে প্রি-ডমিন্যান্ট।’
এ অবস্থায় ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে অন্তত এক মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পর্যটনকেন্দ্র, নির্বাচনসহ জনসমাগমস্থল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধসহ চার দফা সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলটা এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে, বৃহৎ জনজট আমাদের হয়ে থাকে সেগুলো আমি আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শ দিতে চাই। দেশে ভ্যাকিসিনেশন কার্যক্রম সন্তোষজনক উল্লেখ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে গতি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
মন্তব্য করুন