খাদেমুল ইসলাম তেতুলিয়া থেকে
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৮ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়া সরকারি ডিগ্রী কলেজের মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পিপিআর টিকার শুভ উদ্বোধন করেন প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, পিপিআর একটি মারাত্মক রোগ এবং এই রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রচুর ছাগল ভেড়া মারা যায়। প্রান্তিক পর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং মৃত্যুর হার কমানো গেলে দেশে মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পাশাপাশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে বিদেশে রপ্তানী করণ ক্ষমতা অর্জন করবে।
গত বছর দেশ-ব্যাপী ছাগল-ভেড়ার টিকাদান কর্মসূচি হিসেবে জাতীয়ভাবে প্রথম তেঁতুলিয়া থেকেই শুরু করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়েও তেঁতুলিয়া থেকেও শুরু করা হলো। তিনি আরও বলেন, ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। আগামী ২০৩০ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ছাগল উৎপাদনে প্রথম স্থানে যাবে ইনশাআল্লাহ। এ সময় তিনি উপজেলার প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকদের মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা দেন।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ দপ্তরের পরিচালক ড.ইসমাইল হক, প্রকল্প পরিচালক ডা. ফজলে রাব্বি মন্ডল, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা.আব্দুল হাই, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হবিবর রহমান প্রমুখ। এসময় কয়েক শতাধিক কৃষক তাদের ছাগল-ভেড়ার পিপিআর টিকা, ক্রিমি ও ভিটামিনের ঔষুধ গ্রহণ করেন।
প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে ২য় পর্যায়ে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার। যা তেঁতুলিয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ২৬৩ টি গ্রামে ৯৪ হাজার ৫৩টি ছাগল ও ৭শ ভেড়াকে টিকা প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন