ডেস্ক রিপোর্ট। দি সিলেট পোস্ট
তাহিরপুরে বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে নারীসহ চারজনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা।
আশংকাজনক অবস্থায় চারজনকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শনিবার রাতে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- উপজেলার খলিশাজুরী গ্রামের আব্দুল ছালামের স্ত্রী হাবিবুল বেগম (৫৭), একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল শহীদ (৬০), আব্দুল সালামের ছেলে আহাদ নুর (২৪),আছোবানের ছেলে আবুল কালাম (৫৪)।
রোববার দুপুরে উপজেলার খলিশাজুরী গ্রামের আবুল কালাম একই গ্রামের মাইনউদ্দিনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এর আগে উপজেলার খলিশাজুরী গ্রামের সেতু সংলগ্ন এলাকায় শনিবার বিকেলে ওই ঘটনাটি ঘটে।
২৬ ডিসেম্বর রোববার স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার খলিশাজুরী গ্রামের আবুল কালামের নিয়োজিত কৃষিশ্রমিক ভুল করে একই গ্রামের মাইন উদ্দিনের বোরো জমি সেচে ফেলে। সেচের সময় জমিতে দিনভর নিজেও উপস্থিত ছিলেন মাইন উদ্দিন।
ভুল বশত বিনা পারিশ্রমিকে জমি সেচকালে শ্রমিককে বাঁধা না দেয়া প্রসঙ্গ নিয়ে প্রথমে কালাম ও মাইন উদ্দিনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর বাড়ি ফেরার পথে জমি সেচের বিরোধে একই দিন বিকেলে উপজেলার খলিশাজুরী গ্রামের সামনে সবজি বাগান পরিচর্চা শেষে আবুল কালামের বড় ভাইয়ের বয়োবৃদ্ধা স্ত্রী হাবিবুল বেগমকে গালিগালাজ করেন মাইন উদ্দিন ও তার লোকজন।
বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ওই নারীকে টেনে হিছড়ে মাটিতে আছড়ে ফেলে বেধড়ক পেটাতে থাকেন।
এ সময় পরিবারের অন্যরা এগিয়ে আসলে আব্দুস শহীদ, আহাদ নূর ও আবুল কালামকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যায় মাইন উদ্দিনসহ প্রতিপক্ষের লোকেরা।
উপজেলার খলিশাজুরীর আবুল কালাম বলেন, গ্রামের প্রভাবশালী মাইন উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তার পরিবারের ১২ থেকে ১৫জনকে দিয়ে ওই সময় এক বয়োবৃদ্ধা নারীকে বেধরকভাবে পেটায়। এরপর আমাদের উপর ফের রামদা দিয়ে আক্রমণ করে হত্যাচেষ্টা চালায়।
অভিযোগের বিষয়ে মাইন উদ্দিন বলেন, জমিতে পানি সেচের কারণে কথাকাটাকাটির পর উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কিছুটা মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন