মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী
“এই… আর সেই… করা হলে অমুক আর তমুক দলের সম্পর্ক সিমেন্টেড হয়ে যাবে।” -এই আর সেই না করতে এবং আওয়ামীলীগকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ এর প্রায় ১০ বছর পূর্বে করা উপরোক্ত মন্তব্য শতভাগ সত্যি হয়ে যায়। আওয়ামী বিরোধীদের সম্পর্ক সিমেন্টেড ইতোমধ্যেই হয়ে আছে। ভাঙ্গনের প্রবল চেষ্টা করা হলেও ভাঙ্গা যাবে না।
অন্যদিকে আওয়ামী বিরোধীদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কথা বার্তা, আচার-আচরণ, আন্দোলন সংগ্রাম ইত্যাদির গতি প্রকৃতিসহ ঐক্যের ব্যাপক তোড়জোড়সহ প্রতিশোধ স্পৃহা দেখতে পেয়ে শংকিত হয়ে আওয়ামীলীগ ও তাঁদের সহযোগীরা তাঁদের অস্তিত্বের স্বার্থে যা যা করার দরকার তাই করা অব্যাহত রাখবে।
তাঁদের সম্পর্কও আত্মরক্ষার স্বার্থে সিমেন্টেড হয়ে আছে।
উভয় পক্ষ কেউ কাউকে ছাড় দিবে না। উভয় পক্ষই বেশ আর কম ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকবে সাথে দেশও ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকবে।
দেশ ও অন্যপক্ষের ক্ষতি ছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারলে এক কথা অন্যদিকে দেশ ও জনগণের ক্ষতি ছাড়া ক্ষমতায় আরোহন করতে পারলে তাতেও অসুবিধার ছিলো না।
প্রতিশোধবিহীন সম্মানজনক সেইফ exit এর পরিবেশ তৈরির জন্য দেশের জনগণের মধ্য থেকে (বিভিন্ন ধর্ম ও মত নির্বিশেষে ব্যক্তিদের নিয়ে) তৃতীয় একটি মধ্যপন্থী দল গঠন পূর্বক সেই দলের ক্ষমতায় আসার জন্য বিববদমান উভয় গ্রুপের মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ইজম (ideology) ব্যাপক জনপ্রিয় করে গড়ে তোলে সেই দলের ক্ষমতায় আসার সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি করা না হলে বিবদমান পক্ষ দুইটি কেউ কাউকে ছাড় দিবে না। উভয়পক্ষের ব্যাপক ক্ষতিসহ দেশ রসাতলে চলে যাবে।
ছোট খাটো নিষেধাজ্ঞা তো নস্যি – এমনকি অবরোধ আরোপ করা হলেও সেদিকে তেমন ভ্রুক্ষেপ করা হবে না-কেননা সেফটি ফার্স্ট। অবরোধ সত্ত্বেও অতীতে পৃথিবীর অনেক দেশের সরকার নতি স্বীকার করেনি। বাংলাদেশের বেলায়ও তা প্রযোজ্য হবেই হবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবেই হবে। আর তাই সবদলের কাছে তেমন অপছন্দনীয় নয় সেরকম সহনশীল ও ক্ষমাশীল তৃতীয় একটি নতুন দলের উত্থান বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খুবই জরুরি।
লেখক
সহ-সভাপতি
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি
চট্টগ্রাম মহানগর শাখা।
মন্তব্য করুন