দ্য সিলেট পোষ্ট ডেস্কঃ
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু। ২ বছর আগে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবার তার দুই ছেলেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলার দুই ইউপিতে ২৮ নভেম্বর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তারা। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা।
২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় ও কামারখাড়া ইউনিয়নে এ দুই সহোদর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দিঘীরপাড় ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আরিফুল হালদার আর কামারখাড়া ইউনিয়ন থেকে তার ভাই লুৎফর হালদার খুকু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
জগলুল হালদার ভুতু ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১২ হাজার ৯৮৮ ভোটের ব্যবধানে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে তিনি প্রথম টঙ্গিবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারও আগে ১৯৭৭ সালে তিনি টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তার বড় ছেলে মো. আরিফ হাওলাদার নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা তৃতীয়বার দিঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আরিফ নৌকা প্রতীক নিয়ে পান ৩০৩৬ ভোট এবং তার প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীকের শামীম মোল্লা পান ২৩২৫ ভোট।
একই নির্বাচনে কামারখাড়া ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান জগলুল হালদারের ছোট ছেলে লুৎফর হালদার খুকু। তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন হালদারকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেন। লুৎফর হালদার খুকু পান ৬৪১৬ ভোট আর প্রতিপক্ষ মহিউদ্দিন হালদার পান ২৫৯৩ ভোট।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লুৎফর হালদার খুকু বলেন, নির্বাচনে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আমি জয়লাভ করেছি। জনগণকে আশ্বস্ত করেছি যে আমি নিজের পকেট থেকে কিছু দিতে না পারলেও তাদের যেটা প্রাপ্য সেটা অবশ্যই তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব।
দুই নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের বাবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার বলেন, জনগণ আমাকে এবং আমার পরিবারকে ভালোবাসে বলেই আমাদের এই অর্জন। টঙ্গিবাড়ীবাসী আমাদের আবারও ঋণী করে দিল। জনগণের এই ভালোবাসা কখনোই ভুলতে পারব না।
মন্তব্য করুন