সিলেট প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আজ পা রেখেছে ৫৬ বছরে। দেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাসের দিবসটি কেক কেটে উদযাপন করে চিটাগং ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব, সিলেট। বৃহস্পতিবার ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর অভিজাত একটি হোটেলে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রাণোচ্ছাসের ঢেউ উঠা অনুষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন পর একে অপরকে পেয়ে সবাই মেতে উঠেন খুঁনসুটি এবং নষ্টালজিয়ায়। হাসি, আনন্দ আর পুরনো স্মৃতি হাতড়ে সবাই ফিরে যান ভার্সিটির ফেলে আসা দিনেগুলোতে।
১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫তম দিবসে সিলেটে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন মো. নাজমুল ইসলাম। ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল ও হাফিজ আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব সিলেট এর সভাপতি ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, সেক্রেটারি এটিএম শোয়েব, চবি দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মাহবুবুজ্জামান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ ও অধ্যাপক সাব্বির আহমদ ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব অধ্যক্ষ ফজলুল হক।
সভায় ‘হৃদয়ের কাননে সতীর্থের গান’ (চবি দিবস ২০২১) এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত সকলে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পাঠ ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ( সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) বিধায়ক রায় চৌধুরী, শাবি রেজিস্ট্রার ইসফাকুল হোসেন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক কবির আহমদ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন কুমার পাল এসএমপির এডিশনাল কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, সিলেটের এসপি ফরিদ উদ্দিন, জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম রিয়াজুল ইসলাম, শাবি অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার জোবায়ের চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের স্বপ্নবাস্তবের চারণ ভূমি-বাতিঘর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বীরনগরী চট্টলার সঙ্গে শ্রীভূমি সিলেটের আত্মিক সংযোগ অনেক প্রাচীন। উচ্চশিক্ষা বিস্তারে এক গৌরবময় বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। আজকের অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই দিনগুলোর দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যে দিনগুলো কোনো চবিয়ান কখনো ভুলতে পারবে না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্য, অনাবিল আনন্দ আর উৎসাহ উদ্দীপনার এই আয়োজন নিয়ে গেল সেই দূরন্ত জীবনের দুপুরবেলায়। এই মিলনমেলায় তিন শতাধিক প্রাক্তনী অংশ নেন। যারা সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত।
মন্তব্য করুন