তাপস কর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক খুশি তবে শক্বায় দামে। ভালুকার বাজারগুলোতে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে কৃষকেরা নতুন ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে চিন্তিত। প্রতি মণ ধান ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, উপজেলায় এ বছর ১৯ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এতে আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামন্য বেশি আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৫৪ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এব্যাপারে বর্গা চাষি জাকারিয়া বলেন,আমন ধান চাষে এবারের চিত্র ভিন্ন। আমন ধানের চারা রোপণ করার পর পরই দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। ১৭ কাঠা জমিতে আমনের আবাদ করেছি। ধান রোপণে শ্রমিক, সার, কীটনাশক বাবদ এর খরচ হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার হাজার টাকা। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে ধানের দাম কম থাকায় বেশ চিন্তিত।
মল্লিকবাড়ী গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন,এক একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করছি। পোকার আক্রমণে সামান্য ক্ষতি হলেও ফলন ভালো হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা। তবে বাজারে নতুন ধান ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ বিক্রি হওয়ায় চিন্তিত।
মরচী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ বলেন, ১৫ কাঠা জমিতে আমন ধানের আবাদ করছি। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। নতুন ধানের দাম কম,এমন অবস্থায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান বলেন,এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলায় উফশী, হাই-ব্রিড ও দেশি জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এবার ১৯ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, এবার রোগবালাই ও পোকা মাকড় আক্রমণ কম করেছে। তাই ধান খেতের অবস্থা ভালো। এতে ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন