হবিগঞ্জে বিএনপি নেতা জি কে গউছের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৭, ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ন /
হবিগঞ্জে বিএনপি নেতা জি কে গউছের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র জি কে গউছ উন্নয়নমুখী ও জনবান্ধব একজন নেতা। তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চলছে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপকে জড়িয়ে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি স্পষ্টতই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার। এ ধরনের অসত্য প্রচারণার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রপের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু মঈন চৌধুরী সোহেল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী।

আবু মঈন চৌধুরী সোহেল বলেন- হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপ একটি অরাজনৈতিক, সেবামূলক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে আমরা অত্যন্ত সুনাম ও সম্মানের সাথে পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। পাশাপাশি মানবতার সেবা ও শিক্ষা খাতে আমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছি। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় অনুদান প্রদান এবং ক্লাস চলাকালে ছাত্র-ছাত্রীদের হাফ ভাড়ায় যাতায়াতের ব্যবস্থা আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ। ১৯৫২ সালে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ আর্থিক সমস্যার কারণে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপ এগিয়ে এসে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে। এছাড়াও হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ সুরমা কলেজ (সিলেট), আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজ (মিরপুর) সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল ও পূজা-পার্বণ উপলক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সম্প্রতি জি কে গউছ এবং মটর মালিক গ্রুপের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ফেইক আইডি ব্যবহার করে অসত্য, মনগড়া, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে জি কে গউছ হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জি কে গউছ একজন উন্নয়ন বান্ধব রাজনৈতিক নেতা, যিনি হবিগঞ্জের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। তিনি কেবল বিএনপি’র সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকই নন, বরং হবিগঞ্জের সাধারণ মানুষের হৃদয়ের একজন প্রিয় নেতা। তাঁর কর্মমুখর জীবনের সাক্ষ্য দেয় হবিগঞ্জ শহর।

একসময় হবিগঞ্জ শহরকে বলা হতো “পায়জামা শহর”। শহরের ব্যস্ততম এলাকায় ছিল বাসস্ট্যান্ড। যা যানজট ও দুর্ভোগের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। সেই সময়ের নাগরিক ভোগান্তির চিত্র আজও সবার মনে রয়েছে। কিন্তু জি কে গউছ পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এই দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করেন। তিনি হবিগঞ্জে একটি আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করেন, যা আজ হবিগঞ্জবাসীর জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তাঁর এই পদক্ষেপ হবিগঞ্জের মানুষ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে।

আবু মঈন চৌধুরী সোহেল বলেন- প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক পরিবহন মালিককে নিয়ে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপ গঠিত। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বী ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মালিক রয়েছেন। প্রতি দুই বছর অন্তর অবাধ, সুষ্ঠু ও গোপন ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়। সমিতির প্রতিটি আয়-ব্যয় মাসিক ও বার্ষিক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রতি বছর অডিটরের মাধ্যমে নিয়মিত অডিট করা হয়। অর্থাৎ এখানে প্রতিটি লেনদেনের পূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রয়েছে। আমরা সব সময় সাধারণ যাত্রীদের স্বার্থে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও তাই করবো। আমাদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কার্যকলাপের সম্পর্ক নেই এবং থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মটর মালিক গ্রুপের কার্যকরি সভাপতি মোঃ শামসু মিয়া চৌধুরী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন খাঁন,  আব্দুল ওয়াহাব বাবুল, হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, শাহনুরুর রহমান, আকরামুল ইসলাম জিলু, শ্যামল আহমেদ, মোঃ শাহজাহান মিয়া, মালেক চৌধুরী, মোঃ জাকির মিয়া প্রমুখ।