পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি, খাদেমুল ইসলাম,
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের তালিকাভুক্ত লোক শিল্পী শিশির রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান উপভোগ করলো পর্যটকরা। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে জেলার পর্যটন শিল্প এলাকা তেঁতুলিয়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের আনন্দ দেয়ার জন্য এই একক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে তেঁতুলিয়া সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি।
সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাংবাদিক এমএ বাসেতের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির সদস্য সচিব রেজাউল করিম শাহিন, সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও দৈনিক সবুজ নিশানের সম্পাদক এড. মু.আবু সাঈদ সোহান, দৈনিক টারমিগান পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মুহাম্মদ সেলিম, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, আলোকিত বাংলাদেশ মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মাসুদ রানা ও ডেইলি ট্রাইব্যুনালের ফরহাদ হোসেন, তেঁতুলিয়া প্রেস ক্লাবের আহবায়ক জাবেদুর রহমান জাবেদ, যুগ্ম আহবায়ক আতিকুজ্জামান শাকিল, আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসকে দোয়েল, জুলহাস উদ্দিন, আহসান হাবীবসহ বিভিন্ন বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শতশত স্থানীয় ও পর্যটক দর্শনার্থী।
এ সময় বিটিভি ও বেতারের শিল্পী শিশির রহমানের একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে জনপ্রিয় সব গান পরিবেশনে মুগ্ধ করে পর্যটক ও স্থানীয় দর্শকদের। প্রায় তিন ঘন্টা ব্যাপি এ অনুষ্ঠানে শিশির রহমান ছাড়াও স্থানীয় শিল্পী আমান উল্লাহ চৌধুরী ও খাদেমুল ইসলাম গান গেয়ে আনন্দ মুখর হয়ে উঠে সংগীতানুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিক মোস্তাক আহম্মেদ।
আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম শাহিন বলেন, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় এলাকার নাম তেঁতুলিয়া। টেকনাফের নাম নিলে তেঁতুলিয়ার নাম নিতেই হবে। পর্যটন শিল্প এলাকা হিসেবে সবার কাছে সর্বাধিক পরিচিত। আমাদের তেঁতুলিয়ায় বিশেষ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে থাকে। এই পযটকদের বিনোদন দিতে তেঁতুলিয়ার সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির এই আয়োজনকে ধন্যবাদ জানাই। এ ধরণের আয়োজনে আমাদের বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।
আয়োজকরা বলেন, রূপসা থেকে পাথুরিয়া, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। দেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া। সীমান্তবর্তী এ জেলাটিকে সবাই এক নামেই চিনে। ত্রি-সীমান্তবর্তী অঞ্চলটি পর্যটন এলাকা হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। দেশের একমাত্র এখান থেকেই খুব কাছ থেকে দেখা যায় পৃথিবীর স্উুচ্চ যুগল পর্বতশৃঙ্গ হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা। এ হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে প্রতি বছর এই সময়টাতে প্রতিদিন শতশত পর্যটকের সমাগম ঘটে। এখানে এসে পর্যটকরা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে এখানকার শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহাস-ঐতিহ্য এবং পরিবেশ সম্পর্কে জানতে পারে। তাই আমরা পর্যটন শিল্প বিকাশে পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনে প্রদানের লক্ষে এই আয়োজন। এ ধরণের আয়োজন আগামীতে নিয়মিত আয়োজন করে পযটকদের চিত্ত-বিনোদন দিয়ে পর্যটন শিল্প বিকাশে কাজ করে যাবে এখানকার সাংবাদিকরা।
মন্তব্য করুন