নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ ॥
নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে স্বামীর লাথিতে এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে স্বামী মাহমুদ মিয়াকে আটক করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট নর্থইস্টম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৭ বছর আগে উপজেলার ৭নং করগাও ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে নিছফা আক্তারকে বিয়ে করেন ৮নং সদর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে মাহমুদ আলী। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। ইতিমধ্যে মাহমুদ আলী পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামে আরেকটি বিয়ে করে। গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ২য় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে যায় মাহমুদ। এনিয়ে ১৬ সাপ্তাহের মাসের অন্তঃসত্ত্বা ১ম স্ত্রী নিছফা আক্তার ও তার স্বামীর মাহমুদ আলীর মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মাহমুদ আলী স্ত্রী নিছফা আক্তারের পেটে লাথি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট প্রেরণ করেন। সিলেট নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর ডাক্তার জানায় গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। পরে অপারেশন এ নিলে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে স্বামী মাহমুদকে গ্রেফতার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আটককৃত মাহমুদকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। নবীগঞ্জ থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, নিহতের স্বামী মাহমুদ আলীকে গ্রেফতার করে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেনি।
মন্তব্য করুন