পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ক্রাশিং মেশিনের বিকট শব্দ ও ধুলাবালিতে পর্যটক, রোগী ও বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াতকারী অন্য যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই শ’ লোক এই চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করছেন; কিন্তু ক্রাশিং মেশিনের শব্দ ও ধুলাবালিতে ইমিগ্রেশন অফিসে কাজ করা দায়। এতে দেশী-বিদেশী পর্যটক, রোগী এবং অন্য যাত্রীদের চোখ ও কানের সমস্যা হচ্ছে।বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাবান্ধা বাসস্ট্যান্ড থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার মহাসড়কে ক্রাশিং মেশিনের ধুলাবালিতে স্তর পড়ে যায়। মেশিন এলাকা থেকে ধুলাবালি যাতে সড়কে না আসে সে জন্য উঁচু করে কেউ দেয়াল নির্মাণ করেনি।
স্থানিয়রা জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাথর লোড-আনলোড, ডাম্পিং ও নেটিং কাজে জড়িত পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকেরা শরীরের ব্যথাসহ সর্দি-কাশি, হাত-পা থেঁতলা ও ফুলা, জখম নিয়ে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে আসেন। তারা শারীরিক সচেতনতা ও সুরক্ষার বিষয়টি কম জানেন।তেতুলিয়ায় উপজেলা স্বা স্থ্য ও প, প, কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুদ পালভেজ
বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে যেসব শ্রমিক ক্রাশিং মেশিনে কাজ করছেন তাদের শরীরে ডাস্ট কণা প্রবেশ করে। ফলে শ্রমিকেরা সিলিকোসিস রোগসহ শোষণতন্ত্র ও ফুসফুস রোগে আক্রান্ত হয়ে পর্যায়ক্রমে প্রাণঘাতী অসুখে ভুগতে পারেন। এ জন্য সরকারিভাবে জরিপ হওয়া প্রয়োজন। এ অঞ্চলের বিপুল পাথর শ্রমিক সর্দি-হাঁচি-কাশিসহ ভবিষ্যতে প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরআমদানী রপ্তানি ( সি এন্ডএফ) গ্রুপের সাধারন সম্পাদক ও
বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, পাথর ক্রাশিং জোন স্থাপন বা পাথর ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ ও বিজিবি ক্যাম্প থেকে স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কে ধুলাবালি প্রতিরোধে পানি সেচ ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত পরামর্শ দিলেও মানছেন না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার, মো. আবু সাঈদবলেন, বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর নিয়ে আমরা অবহিত আছি। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিষদ বরাদ্দ থেকে বন্দরে ৮ থেকে ১০ একর জমিতে উঁচু দেওয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। সেখানে পাথর ক্রাশিংয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন