কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৬টি পরিবারের মাঝে কমলগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১১অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের আংশিকবালিগাঁও গ্রামে এসব খাদ্যসামগ্রী ও শীত বস্র পৌছে দেন কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে রান্নার চুলা অথবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হাবিবুর রহমানের ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহোযোগিতায় প্রায় ১ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় কোউ অগ্নিদগ্ধ বা আহত হননি। অগ্নিকা-ে ৬ পরিবারের টিনের তৈরী বসত ঘর পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, কামাল মিয়া, রঙ্গি বিবি, হালিমা খাতুন, রুনাবেগম,মতিন মিয়া ও হাবিবুর রহমান। তারা জানান, সবই শেষ, শুধু ভাত নয়, পুড়ে গেছে স্বপ্নও,সহায় সম্বল হারিয়ে এখন নিঃস্ব ৬ পরিবারের মানুষ। আকস্মিক এইবিপদে এখন কোথায় যাবেন, কী করবেন তা নিয়ে দিশেহারা তারা। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কামাল মিয়া জানান,‘আগুনে আমাদের ৬ পরিবারের সব সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে,পরনের কাপড় ছাড়া অন্য কিছু নাই। সব পরিবার মিলেপ্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকেতাদের ৬ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল,তেল, বস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রীতুলে দেওয়া হয়েছে। ঘর তেরী করে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করাহচ্ছে। তাদের কোনো অসুবিধা হবে না। আমি তাদের সব সময় খোঁজ খবর রাখছি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে রান্নার চুলা অথবা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হাবিবুর রহমানের ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহোযোগিতায় প্রায় ১ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় কোউ অগ্নিদগ্ধ বা আহত হননি। অগ্নিকা-ে ৬ পরিবারের টিনের তৈরী বসত ঘর পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান বিভাগ থেকে সাথে সাথে ৫ হাজার টাকা করে
সহযোগিতা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন